Delhi Ordinance Bill 2023: আজ সংসদে পেশ হতে পারে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল
Delhi Ordinance Bill 2023: আম আদমি পার্টি প্রথম থেকেই দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। আপ-এর পাশে দাঁড়িয়েছে নয়া বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'-র সঙ্গী কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।
নয়া দিল্লি: বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। এর উপর আজ, মঙ্গলবার দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল (Delhi Ordinance Bill 2023) পেশ করা হতে পারে সংসদে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বিলটি উত্থাপন করবেন এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নিত্যানন্দ রাই বিলটিকে অবিলম্বে আইনে পরিণত করার ব্যাপারে বিবৃতি দিতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই আজ, সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনও বিরোধীদের হট্টগোলে উত্তাল হতে পারে সংসদ।
এদিকে, সংসদের দুই কক্ষে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল পাশ হলে আমলাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত অধিকার পাবে কেন্দ্র। এটা নিয়েই গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের বিরোধ চলছে। আম আদমি পার্টি প্রথম থেকেই দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। আপ-এর পাশে দাঁড়িয়েছে নয়া বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র সঙ্গী কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। ‘ইন্ডিয়া’-র মোট ২৬ দলের ১০৯ জন সাংসদ-সহ কপিল সিব্বালের মতো অনেকেই এই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই এদিন লোকসভায় ফের দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল পেশ হলে সংসদ উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। বলা যায়, এই বিল পাশ করানো এখন কেন্দ্রের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে, বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দিন এদিন চূড়ান্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এদিন অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক ডেকেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। সেই বৈঠকেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দিন এদিন চূড়ান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সবদিক থেকেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে এদিনের অধিবেশন।
প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এর উপর স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আলোচনার দিন স্থির হয়নি। যা নিয়ে সোমবার সরব হয়েছে কংগ্রেস। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না হলে মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী।