শ্মশানে লাগাতার জ্বলছে চিতা, কবরস্থানে ফুরিয়ে আসছে জায়গা, করোনার ভয়ঙ্কর রূপ রাজধানীতে!

দিল্লির কবরস্থানগুলিতে প্রতিদিন একটি বা দুটি মৃতদেহ আসত, সেখানে বর্তমানে কমপক্ষে ১৭টি দেহ আসে। লাগাতার জেসিবি দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছে সেখানে।

শ্মশানে লাগাতার জ্বলছে চিতা, কবরস্থানে ফুরিয়ে আসছে জায়গা, করোনার ভয়ঙ্কর রূপ রাজধানীতে!
ছবি-পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Apr 15, 2021 | 6:21 AM

নয়া দিল্লি: এমনিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশ, তার মধ্যে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। শ্মশানগুলিতে দেহ সৎকারের জায়গা নেই। রাজধানী দিল্লিতেও দেখা দিয়েছে এই সমস্যা। দিল্লির বৃহত্তম শ্মশান ঘাট, নিগমবোধ ঘাটে দৈনিক আগত মৃতদেহের সংখ্যা ১৫ থেকে বেড়ে ৩০-এ পৌঁছেছে করোনাকালে।

দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয়. ঢেউয়ে আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বুধবারই দেশে মোট ১ হাজার ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন ১০৪ জন। শ্মশানে পরিজনদের দেহ সৎকার করতে আসা পরিবারগুলির অভিযোগ, সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ছে শ্মশানঘাট গুলিতে। ৫-৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও জায়গা না মেলায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।

একই হাল কবরস্থানগুলিতেও। যেখানে প্রতিদিন একটি বা দুটি মৃতদেহ আসত, সেখানে বর্তমানে কমপক্ষে ১৭টি দেহ আসে। লাগাতার জেসিবি দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছে সেখানে। কিন্তু যে হারে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে, তাতে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই কবর দেওয়ার জায়গা শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কবরস্থানের এক কর্মী।

দিল্লিতে করোনায় মৃত্যু হার বৃদ্ধি সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ রোগীই শেষ অবস্থায় হাসপাতালে আসছেন। তখন তাদের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ থাকছে যে চিকিৎসা করার আগেই অধিকাংশের মৃ-ত্যু হচ্ছে। জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেও তারা সেগুলি অদেখা করছেন বা সাধারণ ফ্লু ভেবে ফেলে রাখছেন।

গতকালই মধ্য প্রদেশেও একই ধরনের সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। সেখানেও অধিকাংশ শ্মশানেই সর্বক্ষণ চিতা জ্বলছে। কারণ লাগাতার করোনা রোগীর দেহ এসেই চলেছে।

আরও পড়ুন: সিবিএসই দশমের পরীক্ষা তো বাতিল, মূল্যায়ন হবে কীভাবে? জানালেন শিক্ষামন্ত্রী