Lalbahadur Shastri: ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে কিনেছিলেন পাঁচটি গাড়ি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রইলো বেশ কিছু অজানা কাহিনী
lal bahadur shasri, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন বেশ কয়েকবার তিনি জেল বন্দি হয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. সন্দীপ শাস্ত্রীর (Sandeep Shashtri) লেখা থেকে জানা গিয়েছে যে জেলে বন্দি থাকার সময় তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

কলকাতা: আজ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর (Lal Bahadur Shashtri ) জন্মদিন। সশস্ত্র বিদ্রোহ, সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা, খাদ্যের সঙ্কট এবং অপ্রতুলতার মধ্যে, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ভারতের জন্য আশার আলো হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’ (Jai jawan jai kisaan) স্লোগানকে সামনে রেখে সমগ্র দেশকে তিনি একত্রিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
ভারতে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, দেশের নাগরিকদের প্রত্য়েকদিনের সমস্য়া বোঝার চেষ্টা তিনি করেছিলেন। তিনি নিজেই কঠিন দারিদ্যের মুখোমুখি হয়ে বড় হয়ে উঠেছেন। তাই দারিদ্রের যন্ত্রণার কথা তিনি ভাল করেই অনুভব করতে পারতেন। দারিদ্র দূরীকরণের চেষ্টাও তিনি করেছেন। নিজের স্বল্প দৈর্ঘ্য়ের মেয়াদকালে তিনি দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের (India Pakistan War) সময়ে শান্তি স্থাপনের জন্য তাঁর অবদানের কথা আজও স্মরণ করা হয়। তাঁর এই জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক তাঁর জীবনের অজানা কিছু কাহিনী।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন বেশ কয়েকবার তিনি জেল বন্দি হয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. সন্দীপ শাস্ত্রীর (Sandeep Shashtri) লেখা থেকে জানা গিয়েছে যে জেলে বন্দি থাকার সময় তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মেয়ের পরিচর্যার জন্য ১৫ দিনের প্যারোলে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান, কিন্তু ছাড়া পাওয়ার অনুমতি মেলার আগেই তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর প্যারেল করে তিনি আবার জেলে ফিরে গিয়েছিলেন।
নিজের ছাত্র জীবনে স্কুলে যাওয়ার সময়, তিনি স্কুলে যাওয়ার খরচ বাঁচাতে সাঁতার কেটে গঙ্গা পারাপার হয়ে স্কুলে যেতেন। এই সময় স্কুলে যাবতীয় বই তাঁর মাথায় বাধাঁ থাকতো। এই চরম প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করে তিনি নিজের শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র অনিল শাস্ত্রী (Anil Shashtri) এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, একবার শাস্ত্রীর পরিবারে একটি গাড়ির প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সেই সময় একটি ফিয়াট গাড়ির (Fiat Car) দাম ১২ হাজার টাকা ছিল, কিন্তু শাস্ত্রীর ব্য়াঙ্কে মাত্র ৭ হাজার টাকা ছিল। পরিবারে গাড়ির চাহিদা মেটানোর জন্য তিনি পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক (Punjab National Bank) থেকে ৫ হাজার টাকা লোন নিয়েছিলেন। কিন্তু লোন শোধের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। লাল বাহাদুরের স্ত্রী ললিতা শাস্ত্রী সেই টাকা শোধ করেন।
১৯৬৫ ও ১৯৬৫ সালে ভারত ভয়ঙ্কর খরার মুখোমুখি হয়, যার কারণে দেশে খাদ্যের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছিল। এই সময়ে তিনি প্রত্যেক দেশবাসীকে বাড়িতে ধান ও গম উৎপাদন করতে বলেন। সকলকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য তিনি নিজের বাসভবনে গম উৎপাদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন Barasat: খাল চুরি দায় কার?
