Murder Case: পার্টির পর বন্ধুদের সঙ্গে শুতে বলেছিল প্রেমিক, না শোনায় গণধর্ষণ করে খুন কলকাতার ডিভোর্সী মহিলাকে

Divorcee woman: ওই মহিলা ও চার জন মিলেই পার্টি করেছিল সে দিন। পাঁচ জনই মদ্যপান করেছিল। পার্টির পর মহিলাকে ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে শুতে বলেছিলেন মোতিরাম। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই মহিলা।

Murder Case: পার্টির পর বন্ধুদের সঙ্গে শুতে বলেছিল প্রেমিক, না শোনায় গণধর্ষণ করে খুন কলকাতার ডিভোর্সী মহিলাকে
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 1:06 AM

মোরাদাবাদ: উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদের বিলারি এলাকার জঙ্গল থেকে ৩ জুন মধ্যবয়সী এক মহিলার দেহ উদ্ধার করেছিল মোরাদাবাদের পুলিশ। অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ওই মহিলাকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। এর পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। খোজখবর করে পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলা কলকাতার বাসিন্দা। বছর খানেক আগে ডিভোর্সও হয়েছে তাঁর। ফোনের সূত্র ধরে সেই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে হাড় হিম করা খুনের ঘটনা।

ঘটনা নিয়ে মোরাবাদের পুলিশ সুপার অখিলেশ ভাদৌরিয়া জানিয়েছেন, ডিভোর্সের পরে মোতিরামের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ওই মহিলার। তাঁর সঙ্গে মোতিরামের প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। ওই ২ জন প্রায়শই এক সঙ্গে সময় কাটাতেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনি মোতিরামকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। যদিও এর আগে মোতিরাম ২ বার বিয়ে করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

৩১ মে ওই মহিলাকে নিজের তুতো ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় মোতিরাম। সেখানে আরও ২ জন উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। ওই মহিলা ও চার জন মিলেই পার্টি করেছিল সে দিন। পাঁচ জনই মদ্যপান করেছিল। পার্টির পর মহিলাকে ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে শুতে বলেছিলেন মোতিরাম। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই মহিলা। এর পরই মহিলার উপর ক্ষেপে যান মোতিরাম ও তার সঙ্গীরা। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তার পরই মোতিরাম ও তাঁর তিন সঙ্গী মহিলাকে গণধর্ষণ করেন। এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেরে ফেলেন। পরে সেই দেহ ফেলে দেওয়া হয় মোরাদাবাদের জঙ্গলে।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চার জনের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ) ও ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হল মোতিরাম, তার ভাই দয়ারাম, মুনেশ কুমার। অপর অভিযুক্ত রবি কুমারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা কেউই মোরাদাবাদের বাসিন্দা নয়। অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধারের ১০ দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। এর জন্য মোরদাবাদ পুলিশের কাজের প্রশংসাো করেছেন তিনি।