Draupadi Murmu property: জানেন কত সম্পত্তির মালিক ভাবি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু? কীভাবে কাটিয়েছিলেন অবসাদ? জেনে নিন তাঁর দৈনিক রুটিন

Draupadi Murmu net worth: কত টাকার মালিক দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু? তাঁর কয়টি বাড়ি, কয়টি গাড়ি? জানেন কি, এক সময় চরম অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি? কীভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন সেই অবসাদ থেকে?

Draupadi Murmu property: জানেন কত সম্পত্তির মালিক ভাবি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু? কীভাবে কাটিয়েছিলেন অবসাদ? জেনে নিন তাঁর দৈনিক রুটিন
দেশের ভাবি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2022 | 2:27 PM

নয়া দিল্লি: দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের প্রথম আদিবাসী নেত্রী এবং দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে এই সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হতে চলেছেন তিনি। ২৪ জুলাই রাইসিনা হিলস থেকে বিদায় নেবেন রামনাথ কোবিন্দ। তার পরের দিনই দেশের রাষ্ট্রপতি পদে শপথ গ্রহণ করবেন দ্রৌপদী মুর্মু। একেবারে নিচুতলা থেকে ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে পৌঁছনো এই আদিবাসী নেত্রীকে, ভাল করে চেনেন না অনেকেই। জানেন তিনি কত টাকার মালিক? তাঁর কয়টি বাড়ি, কয়টি গাড়ি? জানেন কি, এক সময় চরম অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি? কীভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন সেই অবসাদ থেকে? আসুন দেশের ভাবি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক এরকমই কিছু অজানা তথ্য।

সম্পত্তি

২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করা হলফনামা অনুসারে, দ্রৌপদী মুর্মুর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া, তাঁর মোট ১৪ লক্ষ টাকার দেনা ছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। তিনি শেষ নির্বাচনে লড়েছিলেন ২০০৯ সালে। ওই বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে দাখিল করা হলফনামা অনুসারে, যশবন্তের সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি টাকারও বেশি। তবে তাঁর কোনও দেনা ছিল না।

বাড়ি-গাড়ি

দ্রৌপদী মুর্মুর নিজের কোনও গাড়ি না থাকলেও ওড়িশায় একটি বাড়ি আছে। বিয়ের পর এই স্বামীর সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। তবে স্বামী-সন্তানের মৃত্যুর পর, তিনি তাঁর বসতবাড়িটিকে একটি বিদ্যালয়ে পরিণত করেছিলেন। প্রতি বছর সন্তান ও স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে, ওই স্কুলে যান দ্রৌপদী মুর্মু। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান।

দৈনিক রুটিন

দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতিদিনের জীবন একেবারে নিয়মে বাঁধা। এতটুকু নড়চড় হয় না। যত ব্যস্ততাই থাকুক, ভোরবেলা হাঁটা, ধ্যান করা এবং যোগব্যায়াম করা বাদ দেন না দেশের ভাবি রাষ্ট্রপতি। প্রতিদিন ভোর সাড়ে তিনটেয় ঘুম থেকে ওঠেন। তার পর বের হন হাঁটতে। বাড়ি ফিরে যোগব্যায়াম করেন। সময়নিষ্ঠ বলে তাঁর খ্যাতি আছে। শোনা যায়, কোনও কখনই দেরিতে পৌঁছন না তিনি।

সর্বদা সঙ্গী দুটি বই

দ্রৌপদী মুর্মু সবসময়ই তাঁর সঙ্গে দুটি বই রাখেন। একটি ইংরাজি অনুবাদের বই। অন্যটি ভগবান শিবের স্তবের পুস্তিকা। কথাবার্তা বলতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই সর্বত্র তিনি ইংরাজি অনুবাদের বইটি বহন করেন। আর প্রতিদিন ধ্যান করার সময় পুস্তিকা থেকে শিব স্তব করে থাকেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন

তবে, ব্যক্তিগত জীবনটা একেবারেই মসৃণ নয় দ্রৌপদী মুর্মুর। ১৯৫৮ সালের ২০ জুন, ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ জেলায় এক আদিবাসী পরিবারে জন্ম হয়েছিল তাঁর। বাবা বিরঞ্চি নারায়ণ টুডু ছিলেন গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। নিজ জেলা থেকে স্কুলশিক্ষা গ্রহণের পর তিনি ভুবনেশ্বরের রামাদেবী মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তবে একসময় পরপর তিন সন্তান ও স্বামীর মৃত্যুতে তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন। প্রথমে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর বড় ছেলের। তিন বছর পর মৃত্যু হয় ছোট ছেলের। এর এক বছর পর বিদায় নিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। ছোট মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল মাত্র তিন বছর বয়সে। অব, অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই তিনি ধ্যান করা শুরু করেছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন

রাজনীতিতে আসার পর ধাপে ধাপে তিনি কাউন্সিলর, এমএলএ এবং মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২৫ বছর আগে প্রথমে ওড়িশার রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েত থেকে কাউন্সিলর নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিন বছর পর ২০০০ সালে, রায়রাংপুর থেকেই প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বিজেপি-বিজেডি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের নবম রাজ্যপাল হন। এবার দেশের সর্বোচ্চ নেত্রী হলেন তিনি।