AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে এসেছিলেন, মামলাকারী মহিলাকে দেখেই প্রেমে পড়লেন বিচারক, ‘প্রেমকাহিনি’ গড়াল সুপ্রিম কোর্টে

Supreme Court: অভিযুক্ত ব্যক্তি কলকাতার একটি আদালতের প্রাক্তন বিচারক। এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৪ সালে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আদালতে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন পরিচয়। ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে এসেছিলেন, মামলাকারী মহিলাকে দেখেই প্রেমে পড়লেন বিচারক, 'প্রেমকাহিনি' গড়াল সুপ্রিম কোর্টে
| Updated on: Apr 09, 2025 | 4:03 PM
Share

নয়াদিল্লি: সম্পর্কে থাকাকালীন শারীরিক মিলন। সম্পর্ক ভেঙে গেলেই কি বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করা যায়? একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, সম্পর্ক ভেঙে গেলেই সব ক্ষেত্রে শারীরিক মিলনকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। সম্পর্ক ভাঙলেই যেভাবে ফৌজদারি মামলা বাড়ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত।

একজন প্রাক্তন বিচারকের বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের মামলায় একথা বলল বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। প্রাক্তন ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ফৌজদারি অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। কিন্তু, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন ওই বিচারক। হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

অভিযুক্ত ব্যক্তি কলকাতার একটি আদালতের প্রাক্তন বিচারক। এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৪ সালে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আদালতে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন পরিচয়। ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী থাকলেও তাঁরা আলাদা থাকছিলেন। সেইসময় অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পর মহিলা ও তাঁর পুত্রের দায়িত্ব নেবেন তিনি। তাঁকে বিয়ে করবেন। ২ জনের সহমতের ভিত্তিতে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। মহিলার অভিযোগ, বিবাহ বিচ্ছেদের পরই অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এবং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখতে বলেন।

সুপ্রিম কোর্ট বলে, যদি এফআইআর ও চার্জশিট সঠিক বলেও ধরা হয়, এটা যুক্তিযুক্ত নয় যে শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে মহিলা শারীরিক সম্পর্কে রাজি হয়েছিলেন। এটা স্পষ্ট যে ২ জনের সহমতের ভিত্তিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তাঁকে জোর করা হয়নি। আবার মহিলা জানতেন যে ওই ব্যক্তির স্ত্রী রয়েছে। যদিও তাঁরা আলাদা থাকেন। প্রাক্তন ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আগাম জামিন দিয়েছিল।