লখনউ: নিত্যদিন অশান্তি। মদ খেয়ে রোজ মারধর করে। পাড়ায় দুর্নাম রটে গিয়েছিল। পরপুরুষরাও কুনজর দিত, সুযোগ পেলেই উত্যক্ত করত। দিনের পর দিন এই ঘটনায় বিতশ্রদ্ধ হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন দুই মহিলা। মন্দিরে গিয়ে তারা একে অপরকে বিয়ে করে নিলেন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। সেখানে গোরক্ষপুরের বাসিন্দা দুই মহিলা নিজেদের স্বামীর উপরে এতটাই বিরক্ত হয়ে যান যে একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে তারা রীতি মেনে বিয়ে করেন। জানিয়েছেন, তারা আর স্বামীর কাছে ফিরবেন না। দুইজন একে অপরের সঙ্গেই আজীবন জীবন কাটাবেন।
ওই মহিলারা জানিয়েছেন, তাদের দুইজনের স্বামীই অত্যাচার করত। নিয়মিত মদ্যপান করে তাদের মারধর করত। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। বরং মারধর-অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। এদিকে, স্বামীর অত্যাচার, দুঃখের গল্প করতে করতেই তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়। নিজেদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরই তারা সিদ্ধান্ত নেন যে স্বামীদের ছেড়ে তারা একে অপরকে বিয়ে করবেন।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্থানীয় দুগেশ্বর নাথের মন্দিরে গিয়ে তারা অগ্নিসাক্ষী রেখে একে অপরকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় নিজের নামও পরিবর্তন করেন। একজন মহিলা তাঁর নাম পরিবর্তন করে গুঞ্জা এবং অপরজন নিজের নাম বাবলু রেখেছেন।