‘পাকিস্তানে চলে যাও’, পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রকে ধমক শিক্ষিকার, বিতর্ক ছড়াতেই বদলি
কর্নাটকের শিবমোগ্গা জেলার উর্দু ইনস্টিটিউশনে বৃহস্পতিবার চলছিল ক্লাস। কন্নড় ভাষার এক শিক্ষিকা ক্লাস নিচ্ছিলেন পঞ্চম শ্রেণির। সে সময় দুই ছাত্র নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছিল। যা দেখে বিরক্ত হন কন্নড় ভাষা বিশেষজ্ঞ ওই শিক্ষিকা।

বেঙ্গালুরু: গত কয়েক বছরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সম্প্রতি শিক্ষাঙ্গনেও সেই বিদ্বেষমূলক মনোভাবের প্রকাশ উদ্বেগ তৈরি করছে। শিক্ষাঙ্গনে বোরখা পরা নিয়ে উত্তাল গত কয়েক বছরে উত্তাল হয়েছিল কর্নাটক। এ বার সে রাজ্যের শিবামোগ্গা জেলার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল বিদ্বেষমূলক মনোভাব দেখানোর। দুই মুসলিম ছাত্রকে ‘পাকিস্তানে চলে যাওয়ার’ পরামর্শ ওই শিক্ষিক দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা অভিযোগ জানান শিক্ষা দফতরে। এর পরই বদলি করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। এবং অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে।
কর্নাটকের শিবমোগ্গা জেলার উর্দু ইনস্টিটিউশনে বৃহস্পতিবার চলছিল ক্লাস। কন্নড় ভাষার এক শিক্ষিকা ক্লাস নিচ্ছিলেন পঞ্চম শ্রেণির। সে সময় দুই ছাত্র নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছিল। যা দেখে বিরক্ত হন কন্নড় ভাষা বিশেষজ্ঞ ওই শিক্ষিকা। তিনি দুই ছাত্রের ঝগড়া থামাতে উদ্যত হন। অভিযোগ, তা করে গিয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, “পাকিস্তানে চলে যাও। এটা হিন্দুদের দেশ।” শিক্ষিকার এই বক্তব্য ঘিরেই ছড়িয়েছে বিতর্ক।
এই অভিযোগ পেয়েই সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর তদন্ত শুরু করে। ওই শিক্ষিকাকে বদলি করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ব্লক এডুকেশন অফিসার বি নাগরাজ বলেছেন, “আমরা অন্য স্কুলে ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে বদলি করেছি। ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জানা গিয়েছে ওই শিক্ষিকা ২৬ বছর ধরে শিক্ষকতা করছে। গত ৮ বছর ধরে তিনি শিবমোগ্গা জেলার এই স্কুলে পড়াচ্ছিলেন।
