XE Variant: XE ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত গুজরাটের বাসিন্দা! কী ধরনের উপসর্গ ছিল, জানাল প্রশাসন

XE Variant: এক সরকারি আধিকারিক জানান, গত ১২ মার্চ ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সম্প্রতিই তাঁর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হলে জানা যায়, তিনি এক্সই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।

XE Variant: XE ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত গুজরাটের বাসিন্দা! কী ধরনের উপসর্গ ছিল, জানাল প্রশাসন
ভারতে বিএ.৪ এবং বিএ.৫ সাবভেরিয়েন্ট, নিশ্চিত করল ইনসকগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 10, 2022 | 10:36 AM

আহমেদাবাদ: চলতি সপ্তাহেই মুম্বইয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ওমিক্রনের নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট এক্সই (XE Variant) নিয়ে। এবার গুজরাট (Gujarat) প্রশাসনের তরফে দাবি করা হল, ৬৭ বছর বয়সী রাজ্যের এক বাসিন্দা এক্সই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুক্রবারই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, এক মাস আগে ওই ব্যক্তি করোনা আত্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর মৃদু উপসর্গ ছিল এবং দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। যদিও এখনও কেন্দ্রের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুজরাটের এক সরকারি আধিকারিক জানান, গত ১২ মার্চ ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সম্প্রতিই তাঁর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হলে জানা যায়, তিনি এক্সই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছিল ওই নমুনা, চলতি সপ্তাহেই সেই রিপোর্ট আসে। এরপর ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জিনোমিক কনসার্টিয়ামের নিয়ম অনুযায়ী, কলকাতার আরেকটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে ওই রিপোর্টেও জানানো হয় যে ওই ব্যক্তি এক্সই সাব ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত হয়েছেন।

গুজরাটের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্য়াণ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনোজ আগরওয়াল বলেন, “করোনার এক্সই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির মৃদু উপসর্গ ছিল এবং তিনি দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠেছেন। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন এবং মুম্বইয়ের বাড়িতে রয়েছেন।”

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার এক্সই ভ্যারিয়েন্ট আসলে ওমিক্রনের বিএ.১ ও বিএ.২ স্ট্রেনের সংমিশ্রণে তৈরি “রিকম্বিন্যান্ট” মিউটেন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, এক্সই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ অনেকটা ওমিক্রনের মতোই। এর প্রধান উপসর্গগুলি হল জ্বর, গলা ব্যাথা, গলা চুলকানো, সর্দি-কাশি, ত্বকে চুলকানি বা রঙ বদলে যাওয়া এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনালের সমস্যা।