সিমলা: গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত সমগ্র হিমাচল প্রদেশ। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। বহু ঘর-বাড়ি, মন্দির, রাস্তা, সেতু নিমেষের মধ্যে ভেসে গিয়েছে। চোখের পলকের শেষ হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার টানা বৃষ্টি ও বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় বিপর্যয়’ (State Calamity) বলে ঘোষণা করল হিমাচল প্রদেশ সরকার (Himachal Pradesh Government)। অন্যদিকে, গত ৫ দিনে হিমাচল প্রদেশে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গত ১ এপ্রিল থেকে বৃষ্টি-বিপর্যয়ের কারণে ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
গত পাঁচদিন ধরে রাজ্যে যেভাবে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে গোটা ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হবে বলে বৃহস্পতিবারই এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সেই কথা মোতাবেক এদিন রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করল হিমাচল প্রদেশের সরকার। গোটা রাজ্যকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিধ্বস্ত এলাকা এবং ঘটনাটিকে রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। আবহাওয়ার উন্নতি হলে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়া হবে এবং রাজ্যের পুনর্গঠনে কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন হিমাচলের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার চাঁদ শর্মা।
অন্যদিকে, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে হিমাচল প্রদেশের মোট মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এদিন একটি রিপোর্ট পেশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই রিপোর্ট অনুসারে, গত ৫ দিনে কেবল হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টিজনিত বিপর্যয়ের জেরে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, ১৮ জন আহত হয়েছেন এবং ১৪ জন নিখোঁজ। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ দিনে ৩৮টি ভূমিধস ও ৬টি মেঘভাঙা বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে মোট ৬২২টি বাড়ি/গোশালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১৬টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৭টি জাতীয় সড়ক ও গ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত ৫৯১টি রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে BRO, NDRF, ITBP, army and AWD যৌথভাবে এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এছাড়া ১৭টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে।