Teacher: ‘কলিজা ঠাণ্ডা’ করার অর্থ ‘গলায় এক পেগ মদ ঢালা’, ক্লাস ফোরের শিশুদের এ কী শেখালেন শিক্ষিকা!
Hindi Teacher: এই ঘটনায় লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে শিক্ষা বিভাগ। শিক্ষা দফতরের তরফে বিনীতা কুমারীকে তার সার্টিফিকেট দিতে বলা হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে যে তিনি সাধারণত স্কুলে বাচ্চাদের কী পড়ান?
বিহার: ‘হাত-পা ফুলে যাওয়া’ মানে ‘সময়মতো মদ না পাওয়া’! পড়ুয়াদের সামনে রাখা ব্ল্যাক বোর্ডে এমনটাই লেখা। চতুর্থ শ্রেণির শিশুদের কী পাঠ দিতে মদ্যপানের উহদাহরণ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ল! একটি নয়, একাধিক এরকম উদাহরণ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একজন শিক্ষিকার এমন আচরণে অবাক পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। কেন এমন করলেন, তা জানতে চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে।
বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার একটি সরকারি স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে। একজন শিক্ষিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রদের হিন্দিতে ইডিয়ম বা বাগধারা শেখাতে গিয়ে অ্যালকোহল বা মদ সম্পর্কিত উদাহরণ ব্যবহার করেছেন। ব্ল্যাকবোর্ডের সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় অভিভাবকদের মধ্যে।
চতুর্থ শ্রেণির শিশুদের হিন্দি শেখানোর সময়, শিক্ষিকা বিনীতা কুমারী ব্ল্যাকবোর্ডে অ্যালকোহল সম্পর্কিত উদাহরণ লিখেছিলেন। তিনি লেখেন, ‘হাত-পা ফুলে যাওয়া’ মানে ‘সময়মতো মদ না পাওয়া’, ‘কলিজা ঠাণ্ডা হওয়া’ মানে ‘গলায় এক পেগ মদ ঢালা’, ‘ভাল মনে দান করা’ মানে বন্ধুদের ফ্রি-তে মদ খাওয়ানো’। এই ঘটনায় বিহারের শিক্ষা দফতরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ব্লক শিক্ষা আধিকারিক অখিলেশ কুমার বিষয়টি জানতে পেরেই ব্যবস্থা নেন। তিনি স্বীকার করেন যে জামুয়া মিডল স্কুলে ছাত্রদের হিন্দি শেখানোর সময় ব্ল্যাকবোর্ডে মদের উদাহরণ দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য শিক্ষিকা বিনিতা কুমারী ফোনে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে এই ঘটনায় লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে শিক্ষা বিভাগ। শিক্ষা দফতরের তরফে বিনীতা কুমারীকে তার সার্টিফিকেট দিতে বলা হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে যে তিনি সাধারণত স্কুলে বাচ্চাদের কী পড়ান? এমনিতেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ, তার মধ্য়ে চতুর্থ শ্রেণির শিশুদের এই পাঠ দেওয়ার কী প্রয়োজন পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।