এটাওয়া: রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। রাত যখন সাড়ে ১০টা তখন বাড়ির বাইরে থাকা ছাগলরা চিৎকার জুড়েছেন। সেই চিৎকার শুনেই বাড়ির লোকেরা বুঝেছিলেন বিপদ আসন্ন। দরজা খুলে বেরিয়ে এসেই তাঁরা দেখেন বড়সড় একটি কুমির ছাগলদের থেকে কয়েক হাতে দূরে দাঁড়িয়ে। তা দেখেই হইহই রব পড়ে যায়। এই গোলমালে বাড়িতে ঢুকে যায় ৮ ফুট লম্বা ওই কুমির। ঘটনা নিয়ে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ আসে। পুলিশকর্মীরা বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁদের উপদেশ মতো বাড়ির ভিতর তালা লাগিয়ে বন্দি রাখা হয় ওই কুমিরকে। পরিবার এবং প্রতিবেশীদের তো রাতের ঘুম ততক্ষণে উড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের এটাওয়ার জাইতিয়া গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা হরনাম সিংয়ের বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ছাগলের চিৎকারেই হরনাম টের পেয়েছিলেন কুমিরের উপস্থিতি। পুলিশ এসে বন দফতরকে ফোন করলে বন দফতরের আধিকারিক আশিস ত্রিপাঠি ঘরে ঢুকে পড়া কুমিরকে ঘরবন্দি করে রাখার পরামর্শ দেন। সেই মতো ঘর বন্দি রাখা হয় কুমিরকে। পরের দিন ভোরে ওই গ্রামে আসেন বন দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের ঘণ্টা খানেকের চেষ্টার পর উদ্ধার করা হয় ওই কুমিরটিকে।
কুমির উদ্ধারের স্থানীয় সংবাদ মাধ্য়মকে বিষয়টি জানান হরনাম। তিনি বলেন, “আমরা জানি না কুমির কী করে বাড়িতে ঢুকল। ছাগলদের চিৎকার শুনে আমরা বুঝতে পারি, কিছু একটা হয়েছে। আমার মেয়ে দরজা খুললে দেখে কুমির।” হরনামের পরিবারের লোকেদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরাও জড়ো হন সেখানে।
কুমির উদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিক আশিস ত্রিপাঠী। তিনি জানিয়েছেন, এটি পূর্ণবয়স্ক কুমির নয়। এই মাঝবয়সি কুমির খাবারের খোঁজে এখানে চলে এসেছিল। ওই কুমির আক্রমণাত্মক ছিল। তাই গ্রামবাসীরা নিজেরা কুমিরটিকে ধরার ঝুঁকি নেয়নি। আমরা সেটি উদ্ধার করে তাঁর স্বাভাবিক বাসস্থানে ছেড়ে দিয়েছি।