CJI NV Ramana: অষ্টম শ্রেণির আগে ইংরেজির সঙ্গে পরিচয়ও হয়নি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির, তেলুগু মাধ্যমেই পড়াশুনো

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 13, 2021 | 5:53 PM

Supreme Court: জানেন কি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির শিক্ষাজীবন বেশিরভাগটাই তেলুগু মাধ্যমে? আইনের পড়াশোনাটুকুই শুধু ইংরেজি মাধ্যমে। ইংরেজি ভাষার সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচিতি হয়েছিল অষ্টম শ্রেণিতে।

CJI NV Ramana: অষ্টম শ্রেণির আগে ইংরেজির সঙ্গে পরিচয়ও হয়নি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির, তেলুগু মাধ্যমেই পড়াশুনো
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামন

Follow Us

নয়াদিল্লি: আজ দিল্লির দূষণ নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজধানীকে দূষণের মাত্রা কমাতে প্রয়োজনে দুই দিনের লকডাউনের ঘোষণা করারও পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর এই শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামন এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার মধ্যে হালকা মেজাজে বেশ কিছু কথা হয়। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামন জন্মসূত্রে দক্ষিণ ভারতীয়। সেখানেই বড় হওয়া। যখন সুপ্রিম কোর্টে বসেন, তখন অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলে যান। কিন্তু জানেন কি, প্রধান বিচারপতির শিক্ষাজীবন বেশিরভাগটাই তেলুগু মাধ্যমে। আইনের পড়াশোনাটুকুই শুধু ইংরেজি মাধ্যমে। ইংরেজি ভাষার সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচিতি হয়েছিল অষ্টম শ্রেণিতে। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন, সলিসিটর জেনারেলর সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানালেন এন ভি রামন।

শুধু এন ভি রামনই নন, দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতারও শিক্ষাজীবনটা অনেকটা একইরকম। তাঁরও ইংরেজি ভাষার সঙ্গে প্রথম পরিচয় অষ্টম শ্রেণিতে। তাছাড়া বেশিরভাগ পড়াশোনাই গুজরাটি মাধ্যমে। উল্লেখ্য, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আজ খড় পোড়ানোর বিষয়ে আদালতে জমা করা এক তথ্য থেকে তৈরি হওয়া এক ভুল বোঝাবুঝির জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। আর তখনই তিনি বলেন, “কখনও কখনও যে ভাষায় আইনজীবী হিসাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকি, তা থেকে একটি ভুল বার্তা তৈরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না।”

তখনই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আমি একেবারেই সুবক্তা নই তুষার মেহতা। এটা আমার একটা খারাপ দিক। আমি অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি শিখেছি।”

প্রধান বিচারপতির আক্ষেপের সঙ্গে সুরে সুর মেলান সলিসিটর জেনারেলও। তুষার মেহতা বলেন, ” তিনি নিজেও অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি প্রথমবার পড়েছিলেন। স্নাতক স্তর পর্যন্ত গুজরাটি মাধ্যমেই পড়াশোনা।” তারপর প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনিও তেলুগু মাধ্যমের স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন, কেবল আইনের পড়াশোনাটাই ইংরেজিতে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতারও কেবল আইনি পড়াশোনাটাই ইংরেজিতে, বাকি সব গুজরাটি মাধ্যমে।

আদালতকক্ষেই চলছিল হালকা মেজাজের এই কথা-বার্তা। সলিসিটর জেনারেল বেশ গর্বের সঙ্গে বলেন, “আমি কখনও জানতামই না প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমার এত মিল রয়েছে।” এই কথোপকথন পর্ব শেষে অবশ্য তাঁরা আবার শুনানির আইনি আলোচনায় ফেরেন। তুষার মেহতা আদালতে জানান, দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বায়ু দূষণ বন্ধ করার জন্য কী কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “বর্তমানে সব বিষয়ে কৃষকদের দোষারোপ করাই ফ্যাশনে তৈরি হয়েছে।”

প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ, বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “দিল্লির বায়ুদূষণের জন্য কেবল ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোই নয়, গাড়ি থেকে দূষণ, শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত বায়ু থেকে দূষণ সহ একাধিক কারণও দায়ী”।

আরও পড়ুন: Luizinho Faleiro: অর্পিতার আসনে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের নয়া রাজ্যসভার সাংসদ ফেলেইরিও

Next Article