‘জ্যোতি বসু যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন…’, সীতারামের স্মরণসভায় CPIM-কেই তুলোধনা ফারুক আবদুল্লার!
Sitaram Yechury's commemoration: মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, "ইন্ডিয়া জোট গঠনে মূল ভূমিকা ছিল সীতারাম ইয়েচুরিরই। কিন্তু তিনি কোনওদিন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেননি। যার ক্রেডিট নেওয়া উচিত ছিল তিনিই চলে গেলেন।"
নয়া দিল্লি: সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় দাঁড়িয়েই তাঁর এবং তাঁর পার্টি সিপিএম-র তীব্র সমালোচনা করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুখ আবদুল্লা। যখন জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই সময় সীতারাম ইয়েচুরি ও তাঁর পার্টিই বাধা দিয়েছিলেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সিপিএমের জাতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল, নিউমোনিয়া সংক্রমণে ভুগছিলেন। ২৫ দিন দিল্লির এইমস-এ ভর্তি থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন। আজ দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সীতারাম ইয়েচুরির জন্য স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল।
এ দিন এই স্মরণসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া ইন্ডিয়া জোটের সকল সদস্যরাই উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ, আরজেডি-র মনোজ ঝা, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, ডিএমকে-র কানিমোজি, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, জেএমএম-র মমতা মোহান্তি, সিপিআইএমএল-র দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সিপিআই-র ডি রাজা, আম আদমি পার্টির গোপাল রাই।
এই খবরটিও পড়ুন
স্মরণসভায় দাঁড়িয়েই ফারুক আবদুল্লা বলেন, “একসময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে আমরা প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলাম। উনি (সীতারাম) এবং আপনাদের পার্টি হতে দেননি। সেদিন যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে এই দেশ অন্যরকম হত”। ফারুক আবদুল্লার এই বক্তব্যের পরই হাততালিতে ফেটে পড়ে স্টেডিয়াম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোট গঠনে মূল ভূমিকা ছিল সীতারাম ইয়েচুরিরই। কিন্তু তিনি কোনওদিন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেননি। যার ক্রেডিট নেওয়া উচিত ছিল তিনিই চলে গেলেন।”
রাহুল গান্ধী বলেন, “সীতারাম ইয়েচুরি আমার বন্ধু ছিলেন। ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস ও অন্যন্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতেন। ইন্ডিয়া এবং ইউপিএ-র কাঠামো তৈরি করেছিলেন। পর্দার আড়ালে তিনি আঠার কাজ করেছিলেন। ওঁ (সীতারাম) এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যাকে চোখ বুজে ভরসা করা যেত। কখনও আপোস করেননি।”