AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: SIR-এ কি ধরা পড়বে অনুপ্রবেশকারী? কীভাবে সম্ভব?

SIR in West Bengal: সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে দ্বিতীয় পর্যায়ের এসআইআর শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পুদুচেরি, মধ্যপ্রদেশ, লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা, গুজরাট, আন্দামান,গোয়া, লক্ষদ্বীপেও হবে এসআইআর।

SIR in Bengal: SIR-এ কি ধরা পড়বে অনুপ্রবেশকারী? কীভাবে সম্ভব?
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারImage Credit: TV9 Network
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2025 | 7:19 PM
Share

নয়া দিল্লি: বাংলায় এসআইআর নিয়ে আর কোনও জল্পনা রইল না। ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। গত কয়েকমাস ধরেই বাংলায় এসআিআর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে। বিরোধী দল বিজেপি বারবার দাবি করেছে, এ রাজ্যে সমীক্ষা হলে কোটি কোটি ভোটারের নাম বাদ যাবে। মূলত অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা যাবে বলে প্রত্যাশা গেরুয়া শিবিরের। সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠকে কথা বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।

সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে দ্বিতীয় পর্যায়ের এসআইআর শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পুদুচেরি, মধ্যপ্রদেশ, লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা, গুজরাট, আন্দামান,গোয়া, লক্ষদ্বীপেও হবে এসআইআর। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে এই রাজ্যগুলির চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৬-এর ৭ ফেব্রুয়ারি।

অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার উল্লেখ করেন, এসআইআরের প্রক্রিয়ার কথা। প্রথমে একজন ভোটারকে দেখাতে হবে, ২০০২, ২০০৩ বা ২০০৪-এর ভোটার তালিকায় তাঁর বা তাঁর বাবা-মায়ের নাম ছিল কি না। যদি কেউ এটা দেখাতে না পারেন, তাহলে কমিশনের তরফে একটি নোটিস জারি করা হবে তাঁর নামে। এরপর হবে হিয়ারিং। সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উত্তর দিতে হবে ২০০২ বা ২০০৩ সালে তিনি কোথায় ছিলেন, কেন নাম নেই। তাই এ দেশে এসে যদি কেউ নথিপত্র বানিয়ে থাকে, তাহলে সে পুরনো ভোটার তালিকার সঙ্গে ‘লিংক’ দেখাতে পারবে না। সেই কারণেই এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেও দাবি করেছেন, বিহারে এসআইআর করতে গিয়ে বহু রোহিঙ্গার নাম সামনে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআর করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। তবে বাংলায় সমীক্ষা করতে গিয়ে সত্যিই অনুপ্রবেশকারীদের নাম সামনে আসবে কি না, তা কিছুদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।