নয়া দিল্লি: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল ভারত (India)। বুধবার ভিয়েতনামের (Vietnam) সঙ্গে ভারতের একটি নতুন চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশ ২০৩০ সালে মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এক নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুটি দেশে পরস্পরকে লজিস্টিক সহায়তা করার পাশাপাশি, দুই দেশের সেনাবাহিনী একে অপরের ঘাঁটিগুলি মেরামত ও ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এই ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল ফান ভ্যান গিয়াং চুক্তি স্বাক্ষর করার সময় উপস্থিত ছিলেন। চিন যখন দক্ষিণ চিনা সাগরে শক্তি বৃদ্ধি করছে, তখন ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্য সামরিক চুক্তি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
সামরিক ক্ষেত্রে এই প্রথম কোনও দেশের সঙ্গে ‘মিউচুয়াল লজিস্টিক সাপোর্ট’ সংক্রান্ত চুক্তি সই করল ভিয়েতনাম। তাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই চুক্তি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সেনাবাহিনী পরস্পরের সেনা ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, “দুই দেশের সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে সহযোগিতা করে আসছিল। এই নতুন চুক্তির ফলে লজিস্টিক সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা মিলবে। এই প্রথম ভিয়েতনাম কোনও দেশের সঙ্গে এই ধরনের চুক্তি সই করেছে।” মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ৩ দিনের সফরে ভিয়েতনাম পৌঁছে জানিয়েছিলেন, ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে ‘এই সময়ে সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক’ গড়ে উঠেছে। বৃহত্তর স্বার্থ এবং এই দুই দেশকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই চুক্তি প্রয়োজনীয়।
দুই দেশের মধ্যে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২০৩০ সালে মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র আরও বেশি উন্নত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ চিনা সাগরে চিন যেভাবে শক্তি প্রদর্শন করছে, তাতে দুই দেশ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল গিয়াং ৫০০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট দ্রুত চূড়ান্ত করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।