India-China Trade: কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর! দূরত্ব ‘মুছে’ ফের সীমান্তে লেনদেন বাড়াতে উৎসাহী নয়াদিল্লি-বেজিং
India-China Border Trade: চিনের সঙ্গে ঘুঁচবে দূরত্ব? কী ভাবছে সাউথ ব্লক? ট্রাম্পের 'শুল্কাঘাতের' পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে নয়াদিল্লির আকাশে। বরাবরের 'অম্লমধুর' সম্পর্ককে এত সহজে 'মধুর' করা কি সত্যিই সম্ভব?

নয়াদিল্লি: সীমান্ত হবে আগের মতো? চিনের সঙ্গে ঘুঁচবে দূরত্ব? কী ভাবছে সাউথ ব্লক? ট্রাম্পের ‘শুল্কাঘাতের’ পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে নয়াদিল্লির আকাশে। বরাবরের ‘অম্লমধুর’ সম্পর্ককে এত সহজে ‘মধুর’ করা কি সত্যিই সম্ভব? অবশ্য, সেই চেষ্টা যে চলছে না এমনটা বললেই নয়। চলতি মাসেই তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাজেশন’ নামক শীর্ষ সম্মেলন যোগ দেওয়া উদ্দেশে বেজিংয়ে পাড়ি দেবেন। আর তার আগে আবার ১৮ই অগস্ট ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র। অর্থাৎ রসায়ন বদলাচ্ছে।
আর এই আবহে বৃহস্পতিবার দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানালেন, “সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার জন্য দুই দেশের মধ্যে কথা-বার্তা চলছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস, হিমাচল প্রদেশের শিপকি লা পাস এবং সিকিমের নাথুল পাস। এই তিন সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুনরায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের প্রতিনিধিদের মধ্য়ে আলোচনা চলছে। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। যদি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া, তা হলে জানান হবে।”
অতীত বলছে, গত পাঁচ বছর এই তিন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বেজিংয়ের বাণিজ্য স্থগিত হয়েছিল ভারতের। সেই সময় দুই দেশের মধ্য়ে সীমান্ত নিয়ে টানাপোড়েন। একটা দূরত্ব। হঠাৎ করে ব্যবসা লাটে উঠল। আর বাণিজ্য যাই বন্ধ হলে, কয়েক মাসের মধ্য়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সংঘর্ষ। কিন্তু এই ভাবে কত দিন? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এশিয়ার দুই শক্তিধরের এমন ‘বিচ্ছিন্নতাকেই’ তো কাজে লাগাচ্ছেন ‘বুদ্ধিমান’ ট্রাম্প। শুল্ক জ্বালায় জ্বলছে দুই দেশ। তাই সেই সুবাদে সম্পর্কের দূরত্বকেও কিছুটা মিটিয়ে সম্পৃক্ত করায় বিশ্বাসী হয়েছে নয়াদিল্লি ও বেজিং। তবে জল কত দূর গড়ায় তা সময়ের অপেক্ষা।

