Russia-US Meeting: মুখোমুখি বৈঠকে ট্রাম্প-পুতিন, আলোচনাকেই স্বাগত জানাল ভারত
Russia-US Meeting: ভারতের কাছে আন্তর্জাতিক পরিসরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একেবারে দাড়িপাল্লার মতো। একদিকে ভার বাড়লেই, অন্যদিকটা চড়চড়িয়ে বেড়ে ওঠে। এই যে যেমন আমেরিকার শুল্ক-ভারে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের রসায়নটা আবার গাঢ় হয়েছে ভারতের।

নয়াদিল্লি: শনিবার বিকালে রুশ-মার্কিন বৈঠককে স্বাগত জানাল ভারত। এদিন নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়শওয়াল জানান, “আগামী ১৫ই অগস্ট আলাস্কায় রাশিয়া ও আমেরিকার একটি বৈঠক রয়েছে। যাকে স্বাগত জানায় ভারত।”
পাশাপাশি, একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা এবং রাশিয়া যে সমঝোতাতে পৌঁছেছে এবং আগামী ১৫ অগস্ট আলাস্কায় যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ ভাবে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। এই বৈঠক ইউক্রেনে বছর ধরে চলা সংঘাতে ইতি টানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি, শান্তির সকল সম্ভাব্য পরিসরগুলিকেও উন্মুক্ত করতে পরিকর। অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বারংবার বলেছেন যে ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’
ভারতের কাছে আন্তর্জাতিক পরিসরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একেবারে দাঁড়িপাল্লার মতো। একদিকে ভার বাড়লেই, অন্যদিকটা চড়চড়িয়ে বেড়ে ওঠে। এই যেমন আমেরিকার শুল্ক-ভারে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের রসায়নটা আরও গাঢ় হয়েছে ভারতের। আর সেই আবহেই বৈঠককে সায় দিয়ে বিবৃতি জারি নয়াদিল্লির।
Statement by Official Spokesperson⬇️ 🔗 https://t.co/22vVtFYFOh pic.twitter.com/zWvhRSRlhp
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) August 9, 2025
উল্লেখ্য, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা করেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় তিনি বৈঠকে বসছেন। যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার কাছে প্রস্তাব দেওয়া কিছু চুক্তি। কিন্তু এই ঘোষণার আগে বিশ্ব রাজনীতির স্তরে আরও একটি ঘটনা ঘটল। একেবারে যদি প্রথম থেকে বলা যায়, ঠিক যেদিন রুশ আধিকারিক এই বৈঠকের কথা বিশ্ববাসীর কাছে প্রথমবার তুলে ধরলেন, সেই দিনই ওই সম্ভাব্য বৈঠক কর্মসূচির ঘোষণার পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানালেন সফরে আসছেন পুতিন। আর যেদিন ট্রাম্প একেবার দিনক্ষণ ঘোষণা করেন দিলেন। তার ক্ষণিক আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কোথাও গিয়ে ভারতও সকৌশলে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরোক্ষ অংশ হচ্ছে। আর ট্রাম্পের শুল্কাঘাতের বিরুদ্ধে ‘লড়তে’ এটাই উপায়। কারণ, সমঝোতা বৈঠক তো লাটে উঠেছে।

