Indian Army: রাতের অন্ধকারে রাজস্থানে গর্জে উঠল একের পর এক ট্যাঙ্ক! কিন্তু কেন?
মরুভূমির প্রতিকূলতায় শত্রুকে কাবু করতে কোনার্ক কর্পসের জুড়ি মেলা ভার। অনেকে তাদের ডেজার্ট কর্পসও বলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অপারেশন ব্যাটেল-অ্যাক্স নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গঠিত ভারতের ব্যাটেল-অ্যাক্স এখন যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে।

ঘটনাস্থল রাজস্থানের মরুভূমি। শুনশান রাতের নিস্তব্ধতাকে খানখান করে দিয়ে গর্জে উঠল একের পর সাঁজোয়া গাড়ি, ব্যাটেল ট্যাঙ্ক। নিকষ কালো আকাশের বুক চিরে বিদ্যুতের ঝলকানির মতো চলল হাজার হাজার গুলি। কিন্তু কেন? তাহলে কি পাকিস্তানের তরফে কোনও হামলা হল? নাকি অনুপ্রবেশ ঘটাল কেউ?
না! সে সব কিছুই না। আদতে ভারতীয় সেনার কোনার্ক কর্পসের ব্যাটেল অ্যাক্স ডিভিশন সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে যুদ্ধের মহড়া সেরে ফেলল মরুপ্রদেশে। মহড়ার পোশাকি নাম প্রিসিশন ইন দ্য ডার্ক। মানে, রাতের অন্ধকারে নিখুঁত যুদ্ধভ্যাস, শত্রুকে নিশানা করার মহড়া। নিকষ অন্ধকারেও সেনার ট্যাঙ্ক যাতে দুশমনদের সমূলে নিকেশ করতে পারে, হয়ে গেল তারই মক ড্রিল। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে ঠাণ্ডা মাথায় শত্রুকে হারাতে হবে, আধুনিক যুদ্ধের সেই সব কলাকৌশলই ঝালিয়ে নিলেন দেশের পশ্চিম প্রান্তে প্রহরারত সেনা জওয়ানরা।

প্রতীকী ছবি
রাতের অন্ধকারে মরুভূমির প্রতিকূলতায় শত্রুকে কাবু করতে কোনার্ক কর্পসের জুড়ি মেলা ভার। অনেকে তাদের ডেজার্ট কর্পসও বলেন। এই মহড়ায় তাঁরা দেখাল কীভাবে ভারতের ট্যাঙ্কগুলি প্রায় শূন্য দৃশ্যমানতায় চূড়ান্ত প্রতিকূলতার মধ্যেই শত্রুর ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অপারেশন ব্যাটেল-অ্যাক্স নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গঠিত ভারতের ব্যাটেল-অ্যাক্স এখন যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। ব্যবহার করা হচ্ছে কাটিং এজ টেকনোলজি, ফোকাস করা হচ্ছে মাল্টি ডোমেন ওয়ারফেয়ারে। এমনিতেই রাজস্থানের মরু এলাকায় পাহারা দেওয়া খুব শক্ত কাজ। গরমকালে তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, আবার শীতের রাতে পারদ নেমে যায় প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। এখানে প্রহরারত সেনাকে মানসিকভাবেও থাকতে হয় চাঙ্গা। এই মহড়ার মধ্যে দিয়ে সেনার পারদর্শিতাকে আরও একবার খতিয়ে দেখা নেওয়া হল।