AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Omicron Update: ২১ দিনেই ৪০০ পার ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, বিপদ বাড়লেও স্বস্তি মিলছে সুস্থতার হারে

Omicron Update: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৫-এ।

Omicron Update: ২১ দিনেই ৪০০ পার ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, বিপদ বাড়লেও স্বস্তি মিলছে সুস্থতার হারে
আছড়ে পড়তে পারে ওমিক্রনের ঢেউ? ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2021 | 10:45 AM
Share

নয়া দিল্লি: দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক(Union Health Ministry)-র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৫-এ। গতকালই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৫৮-এ। দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থতার হারে কিছুটা স্বস্তি মিলছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, একদিকে যেমন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ পার করেছে, তেমনই আবার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১১৫ জন ইতিমধ্যেই সুস্থও হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে দেশে মোট ৩০০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে। দেশের ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ।

দেশের নিরিখে সর্বোচ্চ ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে দিল্লি ও মহারাষ্ট্র থেকেই। আপাতত সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮। এরপরই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ৭৯ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাটেও বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩।

এরপরেই রয়েছে তেলঙ্গনা(৩৮), কেরল (৩৭), তামিলনাড়ু (৩৪), কর্নাটক (৩১), রাজস্থান (২২)-র মতো রাজ্যও। পশ্চিমবঙ্গেও গতকাল নতুন করে দুইজন আক্রান্তের  খোঁজ মেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬-এ। হরিয়ানা, ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশেও ৪ জন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩ জন, উত্তর প্রদেশে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে। চণ্ডীগঢ়, লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডেও একজন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

শুক্রবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ডেল্টার থেকে তিনগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। সেই কারণেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ফের একবার ওয়ার রুমগুলি চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা বা নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের সামান্য বৃদ্ধি হলেও, তার উপর যেন কড়া নজরদারি চালানো হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের তরফে আপাত, নৈশ কার্ফু, জমায়েতের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম, বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার মতে নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র করোনা টিকাকরণের মাধ্য়মেই যে ওমিক্রন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না, সেকথাও জানিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তদের নিয়ে একটি পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত। সুতরাং কেবল টিকাকরণের মাধ্যমেই এই সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব নয়। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করাও প্রয়োজন।

সংক্রমণ রুখতে উত্তর প্রদেশে আজ থেকে চালু হচ্ছে নৈশ কার্ফু। মহারাষ্ট্রে রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা অবধি পাঁচজন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ এক জায়গায় জমায়েত করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রেও নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, বাড়ির ভিতরে বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ জন এবং বাইরে খোলা জয়গায় বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৫০ জন বা ২৫ শতাংশ (যেটি কম হবে) আমন্ত্রণ করা যাবে। দিল্লি ও হরিয়ানাতেও উদযাপনের ক্ষেত্রে নিয়মের কড়াকড়ি করা হয়েছে।