AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ludhiana Court Blast Update: প্রমাণ লোপাট করতেই ব্যবহার হয়েছিল ২ কেজি আরডিএক্স! নয়া মোড় লুধিয়ানা বিস্ফোরণকাণ্ডে

Ludhiana Court Blast Update: লুধিয়ানার আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হয়েছিল দুই কেজি আরডিএক্স, এমনটাই জানা গেল ফরেন্সিক রিপোর্টে।

Ludhiana Court Blast Update: প্রমাণ লোপাট করতেই ব্যবহার হয়েছিল ২ কেজি আরডিএক্স! নয়া মোড় লুধিয়ানা বিস্ফোরণকাণ্ডে
বিস্ফোরণস্থলের চিত্র। ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2021 | 11:57 AM
Share

চণ্ডীগঢ়: আগেই সন্দেহ ছিল যে আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটাতে আরডিএক্স(RDX) বা আইইডি (IED) বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন প্রমাণ খতিয়ে জানা গেল, আইইডি নয়, আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছিল বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। ফরেন্সিক রিপোর্টে (Forensic Report) জানা গিয়েছে, লুধিয়ানার আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হয়েছিল দুই কেজি আরডিএক্স।

পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police) সূত্রে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের অভিঘাত যাতে বেশি হয়, সেই কারণে ২ কেজি আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছিল। পরিকল্পনা করেই গোটা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, পরিকল্পনা ছিল প্রমাণ লোপাটেরও। শৌচাগারে বিস্ফোরণটি হওয়ায় জলের পাইপ ফেটে সমস্ত বিস্ফেরক ধুয়ে বেরিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, খলিস্তানি সংগঠন জড়িত রয়েছে এই হামলার পিছনে। তবে বিস্ফোরক কোথা থেকে এসেছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

গত ২৩ ডিসেম্বর আচমকাই বিস্ফোরণ হয় লুধিয়ানা জেলা আদালতে (Ludhiana District Court)। দুপুর ১২টা ২২ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণটি হয়। ওইদিনই আইনজীবীদের ধর্মঘট ছিল। সেই সময় আদালত চত্বরেই তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণে এক মহিলা সহ দুইজনের মৃত্য়ু হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ও পদপিষ্ট হয়ে আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা সকলেই স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (National Security Guard) তরফে জানানো হয়, বিস্ফোরণস্থল থেকে যে ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তিনিই বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছিলেন। মৃত ওই ব্যক্তির নাম গগনদীপ সিং। তিনি প্রাক্তন পুলিশকর্মী। তিনি হেড কন্সটেবল ছিলেন, কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। মাদক পাচার কাণ্ডে তাঁর মদত প্রমাণিত হওয়ায়, দুই বছরের জন্য জেলেও পাঠানো হয় তাঁকে। চলতি বঠরের সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। গত ২৩ তারিখ লুধিয়ানার রেকর্ডরুমের পাশে শৌচালয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল ওই মামলার যাবতায় প্রমাণ লোপাট করতেই।

সূত্রের দাবি, যে সময়ে আদালতের ভিতরে বিস্ফোরণ হয়েছিল, ঠিক সেই সময়েই গগনদীপের ফোনেও বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু তাঁর কাছে একটি ইন্টারনেট ডঙ্গল ছিল, সেটি দিয়েই অনলাইনে কারোর কাছ থেকে বিস্ফোরণটি কীভাবে ঘটাতে হবে, সেই সম্পর্কে গগনদীপকে যাবতীয় তথ্য দিচ্ছিল অন্য কেউ। তবে অভিজ্ঞতা না থাকায়, সঠিকভাবে বোমাটি তৈরির আগেই তা ফেটে যায়।

মৃত ওই ব্যক্তির সিম কার্ড ও ওয়্যারলেস ডঙ্গলের মাধ্যমেই পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে। পরে পরিবারের সদস্যরাও তাঁর হাতের ট্যাটু দেখেই দেহ শনাক্তকরণ করেছেন।

এনআইএ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পিছনে বাব্বার খালসা নামক পাকিস্তান সমর্থিত একটি খলিস্তানি সংগঠনের হাত রয়েছে। আদালতে এই বিস্ফোরণের পিছনে তাদের বড় কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন থাকায়, তার সঙ্গে কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নির্বাচনের মুখে পঞ্জাবের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্জাবের পরিস্থিতিকে দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরের কোনও শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হতে দেবে না। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে এমন অনেক কিছুই ঘটছে। এর পিছনে কোনও শয়তানি শক্তি কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য একটাই, বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা ছড়ানো।”

পঞ্জাবের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বিশেষ বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”