নয়াদিল্লি: অম্বেদকরে কার ভক্তি, কতটা বেশি দ্বন্দ্ব এখন সেখানেই। গতকালই কার্যত এই ইস্যুতেই উত্তাল হয়েছিল সংসদ চত্বর। যে মকর দ্বারের সামনে বরাবর প্রতিবাদে-বিক্ষোভ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত বিরোধী শিবিরকে, ঠিক সেখানেই প্রতিবাদে দরজা আটকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল শাসক শিবিরের সাংসদদের। আর আজ শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতিতে কোনও বদল ঘটেনি।
অম্বেদকর ইস্যুতে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। কার, কতটা ভক্তি অম্বেদকরে, এই প্রশ্ন যখন সংসদ চত্বরকে ঘিরে ধরেছে সেই ফাঁকেই কংগ্রেসকে টেক্কা দিতে পদ্ম শিবিরের হাতিয়ার মোদীই। গতকাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা প্রধানমন্ত্রীর অম্বেদকরকে প্রণাম একটি প্রকাশ করে এই ইস্যুকেই উস্কে দেন আরও এক ধাপ। নিজের X হ্যান্ডেলেই ছবিটি পোস্ট করেন তিনি।
Since yesterday, Congress and its ROTTEN eco-system have been EXPOSED by all those who believe in truth, democracy and social justice.
So, I thought of sharing some facts to illustrate the deep CONGRESS HATE towards Dr. Ambedkar. 👇🏼 pic.twitter.com/j3TPzsBrxm
— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) December 19, 2024
কোথায় বিতর্ক?
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জবাবি বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘এখন একটা ফ্যাশন হয়েছে, অম্বেদকর, অম্বেদকর। এত বার ভগবানের নাম নিলে সাত জন্ম পর্যন্ত স্বর্গ লাভ হত।’ শাহের এই মন্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
অধিবেশন শেষের ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ধাপে ধাপে উত্তেজনা ছড়ায় সংসদ চত্বরে। শাহের মন্তব্যের বিরোধীতায় ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। অবশ্য, শাহের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে আঘাত আনতে মরিয়া আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিবাল। তিনি বলেন, ‘যারা অম্বেদকরকে অপমান করে, আসন্ন নির্বাচনে তাদের বাতিল করার অনুরোধ করছি’।
প্রসঙ্গত, অম্বেদকর ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন শাহ। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বক্তব্যগুলিকে বদলে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসই এই ধরণের আচরণ করে থাকে। আমি এমন একটা দলের সদস্য, যারা কোনওদিন দুঃস্বপ্নেও অম্বেদকরের বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা বলতে পারে না’।