নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের ডাকা ইন্ডিয়া জোটের মিছিলে যোগ দিল না তৃণমূল। বিজয় চক থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিল না ঘাসফুল শিবির। উল্টে আম্বেদকর মূর্তির নীচে আলাদা কর্মসূচি পালন তৃণমূল কংগ্রেসের। আর সেখান থেকেই দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার। মূলত, ইন্ডিয়া জোটের মিছিলের ব্যাপারে আগাম না জানানোর কারণেই সেখানে যোগ দিল না বলে দাবি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকী, গতকাল সংসদ চত্বরে তৈরি হয় গন্ডগোলের জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন তৃণমূল সাংসদ।
এদিন তিনি বলেন, ‘সংসদ চত্বরে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে ঘটা এই উত্তেজনাকে কোনওভাবেই গ্রহণ করেনি সাধারণ মানুষ। তা-ই সংঘর্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের মতো আলাদাভাবে প্রতিবাদের পথে নেমেছি আমরা’।
উল্লেখ্য, জাতীয় ও রাজ্যস্তরে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে বা মূলত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরের। জোটে হাত মিলিয়েও দুই দলের মধ্যে থাকা চির একটু মেলায়নি বলেই মত, ওয়াকিবহাল মহলের। উল্টে যখন একযোগে প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রয়োজন, সেই মুহূর্তে ‘একলা চলো’ নীতি নিয়ে চলল ঘাসফুল শিবির, এমনটাই দাবি একাংশের। তবে এবারটাই যে প্রথম এমনটা নয়। বিরোধী শিবিরে কংগ্রেসকে পেরিয়ে নিজের আধিপত্য় কায়েমের নীতি মেনেই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওয়াকিবহাল মহলের আরও দাবি, কখনওই কংগ্রেসের ছত্রছায়া এসে বিক্ষোভ-আন্দোলনের পথ নেয়নি ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৃহত্তম দল।
অবশ্য, এবারের মতো এতটাই। শীতকালীন অধিবেশনের আজ শেষদিন। কিন্তু সেখানেও একেবারে বেনজির ছবি। জনসাধারণের ইস্যুগুলি নেই আলোচনা, নেই তর্ক-বিতর্ক। রয়েছে শুধু শোরগোল আর উত্তেজনা। অধিবেশন শুরুর দুই মিনিটের মাথায় মুলতুবি ঘোষণা করলেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সংসদের অন্দরে ও বাইরে আম্বেদকর ইস্যুতে প্রতিবাদ করেন বিরোধী সাংসদরা। সেই কারণেই অধিবেশন বসার মিনিট কয়েকের মধ্যে মুলতুবি ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ।