B R Gavai: ‘মুছে যাওয়া অধ্যায়…’, এজলাসে জুতো-কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন দেশের প্রধান বিচারপতি গবাই
B R Gavai on Shoe-Attack: সোমবার এজলাসে শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য় করে জুতো ছুড়ে মারেন এক প্রৌঢ় আইনজীবী। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, জুতোটি সপাটে গিয়ে প্রধান বিচারপতি চেয়ারে লেগে মাটিতে পড়ে যায়। আর এই ঘটনায় বেশ চমকে যান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই এবং বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন।

নয়াদিল্লি: মাঝে কেটে গিয়েছে দু’দিন। এজলাসে তাঁকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন তাঁর মুখে শোনা সেই প্রসঙ্গ। গোটা ঘটনাটাকে একটা ‘মুছে যাওয়া অধ্য়ায়’ বলে দাগালেন প্রধান বিচারপতি।
সোমবার এজলাসে শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য় করে জুতো ছুড়ে মারেন এক প্রৌঢ় আইনজীবী। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, জুতোটি সপাটে গিয়ে প্রধান বিচারপতি চেয়ারে লেগে মাটিতে পড়ে যায়। আর এই ঘটনায় বেশ চমকে যান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই এবং বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন। আর এই কথা স্বীকার করেন প্রধান বিচারপতিও। এদিন শুনানি চলাকালীন তিনি বলেন, ‘আমি এবং বিচারপতি চন্দ্রন চমকে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেটা একটা মুছে যাওয়া অধ্য়ায় মাত্র।’
কোন প্রসঙ্গে উঠল এই কথা?
Video of the attack on the Chief Justice of India.
This should make every Indian ashamed.
This is like throwing a shoe at the constitution of India.
CJI may have let him go, but he needs to be locked behind bars forever.
— Roshan Rai (@RoshanKrRaii) October 8, 2025
লাইভ ল-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দশ বছর আগে একই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন বিচারপতি গোপাল শঙ্করনারায়ণ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি বিআর গবাইয়ের সঙ্গে একই বেঞ্চে একটি মামলা শোনার ফাঁকেই সেই স্মৃতি তুলে ধরেন তিনি। বিচারপতির কথায়, ‘আমার সঙ্গেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। আমি সেই নিয়ে একটা প্রতিবেদনও লিখেছিলাম।’ তখনই বিচারপতি শঙ্করনারায়ণের উদ্দেশে ওই একই বেঞ্চে থাকা বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার ব্যক্তিমত মতামত রয়েছে। তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি। এটা কোনও তামাশা করার মতো বিষয় নয়। আর আমার চোখে এটা ক্ষমার অযোগ্য। সুপ্রিম কোর্টের মতো একটা প্রতিষ্ঠানের অবমাননার সমান।’
উল্লেখ্য, ওই অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ‘নজিরবিহীন’ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই মত একাংশের। অবশ্য দেশের বার কাউন্সিল তাঁর লাইসেন্স সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি ১৫ দিনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে তাঁকে ওই ঘটনার ভিত্তিতে শোকজ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কেন আক্রমণ করেছিলেন তিনি, তা অভিযুক্ত আইনজীবীকে জানাতে হবে সেই জবাবি চিঠিতেই। অবশ্য কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে প্রধান বিচারপতির একটি ‘বিতর্কিত মন্তব্যের’ বিরোধিতায় সেই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। এমনকি, জুতো ছোড়ার সময় ওই অভিযুক্ত আইনজীবী চিৎকার বলে উঠেছিলেন, ‘ভারত সনাতন ধর্মের অপমান কোনও মতেই সহ্য করবে না।’
