Kanpur: সহকর্মীর পায়ুতে বায়ুর বিস্ফোরণ, ‘মজা’র পরিণতি মর্মান্তিক
Kanpur Air Compressor Pipe into rectum: মজা করার মাত্রা সীমা ছাড়ালে যে কী পরিণতি হতে পারে, তার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত জেলা। জেলার রানিয়া এলাকার এক কারখানায় দুই সহকর্মীর মজা থেকে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
লখনউ: মজা করার মাত্রা সীমা ছাড়ালে যে কী পরিণতি হতে পারে, তার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত জেলা। জেলার রানিয়া এলাকার এক কারখানায় দুই সহকর্মীর মজা থেকে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এক ৪৭ বছর বয়সী কারখানা কর্মীর মলদ্বারে একটি এয়ার কম্প্রেসার পাইপ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সহকর্মী। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে, হঠাৎ করে তাঁর পায়ু গহ্বরে বাতাসের বিস্ফোরণ ঘটায় ওই ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ আঘাত লাগে। আর তা থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। কানপুর দেহাত জেলার রানিয়া শিল্পাঞ্চলের একটি কারখানায় কাজ করতেন কানপুরের নওবাস্তার হংসপুরম এলাকার বাসিন্দা দয়াশঙ্কর দুবে। কারখানায় ধুলো পরিষ্কার করার একটি এয়ার কম্প্রেসার পাইপ ব্যবহার করা হত। ওই দিন কাজের পর তাঁর এক সহকর্মী তাঁর মলদ্বারে ওই পাইপটি ঢুকিয়ে এয়ার কম্প্রেসার যন্ত্রটি চালিয়ে দিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন দয়াশঙ্কর। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে দ্রুত কাকাদেওর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। দয়াশঙ্করের পরিবারের পক্ষ থেকে রানিয়া থানায়, ওই সহকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতুল গৌতম জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত কারখানার কর্মীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে দয়াশঙ্করের। তিনি গত ১৫ বছর ধরে ওই কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী ও দুই পুত্রের পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী।