বেআইনি মদ খুঁজতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের মারে মৃত কনস্টেবল, পাল্টা এনকাউন্টার যোগীর পুলিশের

মঙ্গলবার কাসগঞ্জে বেআইনি মদের কারখানার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। সেখানেই দুষ্কৃতীদের মারে এক পুলিশকর্মী নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপর বুধবারই এনকাউন্টার অভিযান চালায় পুলিশ।

বেআইনি মদ খুঁজতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের মারে মৃত কনস্টেবল, পাল্টা এনকাউন্টার যোগীর পুলিশের
তল্লাশি অভিযানে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
Follow Us:
| Updated on: Feb 10, 2021 | 11:45 AM

কাসগঞ্জ: বেআইনি মদের কারবারের তল্লাশিতে মাফিয়াদের মারধরে পুলিশকর্মীর মৃত্যুর পরই এনকাউন্টারে (Encounter) খতম করা হল প্রধান অভিযুক্তকে। বুধবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার বেআইনি মদের কারখানার খোঁজে কাসগঞ্জ জেলায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখানে দুষ্কৃতীদের মারধরে এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয় ও আরেক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মুখ্য অভিযুক্তকে নিকেশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জ (Kasganj) অঞ্চলের নাগলা ধিমার গ্রামে বেআইনি মদের কারখানার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে মাফিয়া প্রধানকে ওয়ারেন্ট দিতে গেলে আচমকাই পুলিশের উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। বাকিরা পালিয়ে যেতে পারলেও একজন সাব ইন্সপেকটর ও কনস্টেবল দুস্কৃতীদের হাতে ধরা পড়ে যায়। লাঠি ও অন্যান্য ব্যপক মারধর করে তাঁদের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেবেন্দ্র নামক ওই কনস্টেবলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সাব ইন্সপেকটর অশোক কুমার।

আরও পড়ুন: উদ্ধারকার্যে বাধ সাধছে সুড়ঙ্গে জমে থাকা জল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২, এখনও নিখোঁজ ১৯৭

এরপরই বুধবার ওই অঞ্চলেই এনকাউন্টার অভিযান চালায় পুলিশ। কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার মনোজ সোনকার জানান, বুধবারও কাসগঞ্জ অঞ্চলে মুখ্য অভিযুক্ত এলকার ও তাঁর সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে কালি নদীর ধারে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় মাফিয়াদের। প্রধান অভিযুক্ত এলকার পুলিশের গুলিতে আহত হয়। তাঁকে সিদপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগলা ধিমার গ্রামের বাসিন্দা এলকারের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মদ পাচারের একাধিক অভিযোগ ছিল এবং এর আগেও একবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গতকালের এনকাউন্টারে এলকারের মৃত্যু হলেও আরেক অভিযুক্ত পলাতক।

এদিকে, মঙ্গলবার পুলিশকর্মীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে মৃতের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের এক সদস্যকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। আহত সাব ইন্সপেকটরের যাবতীয় চিকিৎসার খরচও বহন করবে সরকার।

আরও পড়ুন: গ্রেটাকে নিয়ে মন্তব্য, অধীরের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব বিজেপির