AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kashmir: একা সেনা নয়, লড়ছে ওরাও! যুদ্ধের আগেই ‘দুঃশাসন’ পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ উরির মেয়েদের

Kashmir: ২০০৮ থেকে ২০১৬, ২০১৯, ২০২০, এই জায়গাতে লাগাতার শেলিং করেছে পাকিস্তান সেনা। কিন্তু, সে সবে থোড়াই কেয়ার উরির! জনপদের ঠিক মাঝে রয়েছে একটি ছোট স্কুল, স্কুলের মাঠ। গত কয়েক বছর আগে পাক সেনার শেল এসে পড়েছিল এই স্কুলে।

Kashmir: একা সেনা নয়, লড়ছে ওরাও! যুদ্ধের আগেই ‘দুঃশাসন’ পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ উরির মেয়েদের
কী বলছে উড়ির মেয়েরা Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2025 | 11:35 AM
Share

উরি: সীমান্ত পার থেকে ভেসে আসছে শত্রুর রণহুঙ্কার। কিন্তু, সে সবে কানে তুলতে রাজি নয় ওরা। পাহাড়ের বুক চিড়ে গিয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা। তার পাশে পাহাড় ঘেরা ছোট্ট জনপদ উরি। দৃষ্টিসীমার ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর যেন শ্যোন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে উরি জনপদের দিকে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর আক্ষরিক অর্থেই প্রতিজ্ঞার শ্বাসরোধী অবস্থায় গোটা দেশ। এই বোধহয় বাঁধল যুদ্ধ! অথচ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নাকের ঠিক নীচে বসে কার্যত না তোয়াক্কার এক বেনজির বেপরোয়া ভাব নিয়ে জনজীবনের স্বাভাবিকতা বজায় রেখে চলেছে উরি জনপদ।

২০০৮ থেকে ২০১৬, ২০১৯, ২০২০, এই জায়গাতে লাগাতার শেলিং করেছে পাকিস্তান সেনা। কিন্তু, সে সবে থোড়াই কেয়ার উরির! জনপদের ঠিক মাঝে রয়েছে একটি ছোট স্কুল, স্কুলের মাঠ। গত কয়েক বছর আগে পাক সেনার শেল এসে পড়েছিল এই স্কুলে। আঘাত হেনেছিল জনপদের একাধিক জায়গায়। পহেলগামের ঘটনার পর আবার যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আশঙ্কা, ওপারের পাহাড় থেকে যে কোন সময় আগের মতো ফের আঘাত হানতে পারে পাক সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় বিরাট সেনা মোতায়েন সেরে ফেলেছে পাকিস্তান। কিন্তু, থোড়াই তোয়াক্কা! 

স্কুলের মাঠে ভলিবল প্রতিযোগিতায় নেমেছে কাশ্মীরি স্কুলের ছাত্রীরা। তত্ত্বাবধানে থাকা শিক্ষক জানালেন কীভাবে ওপাশ থেকে শেল এসে একবার গুঁড়িয়ে দিয়েছিল স্কুল। কিন্তু, সেসব এখন স্মৃতি! মুখে হাসি নিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে উরি। দুই চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে ছাত্রীরা জানালেন, তারা অশান্তির কাশ্মীর চায় না। তারা কেউ ডাক্তার হতে চায়। কেউ আবার আইএসএস। একাধিক ছাত্রীর কথা, দেশের জন্যই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।  

তাঁদের বক্তব্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে, প্রয়োজন নেই যুদ্ধের। বড়রা বলছেন, উপত্যকার এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নতুন প্রজন্মের এই নিষ্পাপ মুখগুলির অদম্য স্বপ্ন দেখার সাহস দুঃশাসন পাকিস্তানকে সবক শেখাতে যথেষ্ট! প্রাণ কেড়েছে পহেলগাঁওয়ে। কিন্তু এই ইস্পাত চাবুক কিশোরীদের চেতনার কাছে যুদ্ধের আগেই গোহারা হেরে বসে আছে পাকিস্তান। কারণ, শুধু ভারতীয় সেনা একা নয়, স্বপ্নে  দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এই নতুন প্রজন্ম কাশ্মীরকে চেতনার শক্তিতে সত্যিই গড়ে তুলেছে দুর্জয় ঘাঁটি। যা দেখে অনেকেই বলছেন, কাশ্মীর যে বদলাচ্ছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেভাবে একজোট হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন উপত্যাকার বাসিন্দারা তা পাকিস্তানের স্নায়ুর চাপ বাড়াবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।