Lakhimpur Case Update: ‘রাত ১টা অবধি অপেক্ষা করেছি আমরা’, লখিমপুরকাণ্ডে ফের ‘সুপ্রিম’ সমালোচনার মুখে যোগী সরকার

Supreme Court on Lakhimpur Case: আগামী ২৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন রাজ্য সরকারকে ফের একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে, যেখানে লখিমপুরের ঘটনায় কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কোন অপরাধে সেই গ্রেফতারি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।

Lakhimpur Case Update: 'রাত ১টা অবধি অপেক্ষা করেছি আমরা', লখিমপুরকাণ্ডে ফের 'সুপ্রিম' সমালোচনার মুখে যোগী সরকার
বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত রায় বাতিল করল শীর্ষ আদালত। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 1:52 PM

নয়া দিল্লি: লখিমপুর কাণ্ডে (Lakhimpur Violence) ফের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) চরম তুলোধনার মুখে পড়ল উত্তর প্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh Government)। ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্যু নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের তদন্তে সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত। রিপোর্ট জমা দেওয়ায় দেরী করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে  বিচারপতিরা বলেন, “পা ঘষে চলার অনুভূতিটা বাদ দিন।”

৩ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে যে সংঘর্ষ ও গাড়ি চাপা পড়ে ৪ কৃষক সহ ৮ জনের মৃত্য়ু হয়েছে, সেই ঘটনাতেই জনস্বার্থ মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল আজ। এ দিনের শুনানির শুরুতেই রিপোর্ট দেরীতে জমা দেওয়ার জন্য চরম ভৎসর্না করা হয় রাজ্য সরকারকে। প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ বলেন, “আমরা গতকাল রাত ১টা অবধি অপেক্ষা করেছি রিপোর্টের জন্য, কিন্তু কেনও রিপোর্টই জমা পড়েনি।”

এর জবাবে সরকার পক্ষের তরফে হাজির আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, আজ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যদি শুনানমি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে আপনারা রিপোর্ট জমা দেন, তবে আমরা কীভাবে সেই রিপোর্ট পড়ব? শুনানির অন্তত একদিন আগে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে, এটাই আশা করা হয়। আমরা সিল করা কভারে রিপোর্ট চাইনি।” আইনজীবী হরিশ সালভে শুক্রবার শুনানির জন্য আবেদন করলেও প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, আজই রিপোর্ট পড়া হবে।

আগামী ২৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন রাজ্য সরকারকে ফের একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে, যেখানে লখিমপুরের ঘটনায় কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কোন অপরাধে সেই গ্রেফতারি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। ওই সময়ের মধ্যেই সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়ে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “এটা যেন অসমাপ্ত গল্পে পরিণত না হয়।”

শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, “আপনারা বলেছিলেন ১৬৪ জন সাক্ষী রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ৪৪জনকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? বাকিদের সাক্ষ্য কোথায়?” জবাবে আইনজীবী সালভে বলেন, “এই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সমস্ত প্রধান অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুটি অপরাধে। প্রথম, যেখানে গাড়ির ধাক্কা দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে, দ্বিতীয়, গাড়িতে উপস্থিত দুইজনকে মারধর করে হত্যার ঘটনায় বাকিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় তদন্তে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল।”

এর প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “পুলিশ সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ না করলে আমরা সমস্ত তথ্য জানতে পারব না। এটা যেন কোনওভাবেই অসমাপ্ত গল্পে পরিণত না হয়।” বিচারপতি হিমা কোহলি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে আপনারা পা ঘষে চলছেন (তদন্তে ধীরগতি বোঝানোর জন্য)। দয়া করে এই মনোভাব ত্যাগ করুন।”

আগামী ২৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিনই সরকারের তরফে পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।