AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uttarakhand Rain Update: বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত রানিক্ষেত-আলমোড়া, কাদা-পাথর টপকেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা পর্যটকদের

Ranikhet, Almora Cut Off: দিন সকাল থেকেই এনডিআরএফের দলের সাহায্যে আটকে থাকা পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন। পাহাড়ি রাস্তা দিয়েই ব্য়াগ হতে ফিরে আসতে দেখা যায়।

Uttarakhand Rain Update: বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত রানিক্ষেত-আলমোড়া, কাদা-পাথর টপকেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা পর্যটকদের
গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। ছবি:ANI
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2021 | 1:07 PM
Share

দেহরাদুন: বৃষ্টি কিছুটা কমলেও বিপদ এখনও কাটেনি দেবভূমির উপর থেকে। এখনও ধস (Landslide) নেমেই চলেছে খৈরানা,গরমপাি সহ একাধিক এলাকায়। বিগত তিনদিনের ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) ও ধসের জেরে রানিক্ষেত ও আলমোড়ার সঙ্গে বাকি রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। দেখা দিয়েছে প্রবল জ্বালানি সঙ্কটও, কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেই জ্বালানি তেল দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহরাদুন থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রানিক্ষেতে (Ranikhet) যে পরিমাণ জ্বালানি মজুত ছিল, তা প্রায় পুরোটাই শেষ। পেট্রল পাম্পগুলিতে যেটুকু পেট্রল-ডিজেল রয়েছে, তা জরুরি পরিষেবার জন্যই সংরক্ষিত রয়েছে। একটানা বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিপর্যস্ত হলে গিয়েছিল। প্রায় ২৪ ঘণ্টা অন্ধকারে থাকার পর কম ভোল্টেজে বিদ্যুৎ পরিষেবা ফের চালু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে একাধিক জায়গায় ফাইবার অপটিক কেবল ছিঁড়ে যাওয়ায় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

একই অবস্থা আলমোড়া(Almora)-তেও। সেখানে গতকালই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ দিন সকালেই দেখা যায়, উদ্ধারকার্য চালানোর চেষ্টা করছে এনডিআরএফের দল। কিন্তু ধস নামার কারণে ছোট পাহাড়ি রাস্তাগুলি সম্পূর্ণরূপে পাথর, কাদামাটিতে চাপা পড়ে গিয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের পাথর ও কাদামাটির স্তূপের উপর দিয়েই সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে।

গতকাল থেকেই নৈনিতাল(Nainital)-র সঙ্গেও বাকি রাজ্যের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হওয়ায় ঝিলের জল বিখ্যাত মল রোড অবধি চলে এসেছে। যে তিনটি সড়কপথে নৈনিতাল যাওয়া যেত, সবকটিই ভূমিধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই একাঝিক জায়গায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। রাতে কয়েকটি জায়গায় পুনরায় পরিষেবা চালু হওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

এ দিন সকাল থেকেই এনডিআরএফের দলের সাহায্যে আটকে থাকা পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন। পাহাড়ি রাস্তা দিয়েই ব্য়াগ হতে ফিরে আসতে দেখা যায়। এখনও অবধি নৈনিতাল-হালদেওয়ানি, রামনগর-গারজিয়া-আলমোড়া, ভোয়ালি-আলমোড়া, কাঠগোদাম-চোরগালিয়া-সীতারগঞ্জ, ভীমতাল-পদ্মপুরী সহ একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে।

উদ্ধারকার্যে সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনাও হাত লাগিয়েছে। গতকালই বায়ুসেনার তরফে তিনটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। এরমধ্যে দুটি হেলিকপ্টারকে নৈনিতালে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয় হেলিকপ্টারটি গারওয়াল উপত্যকায় পাঠানো হয়েছে। এনডিআরএফের তরফেও ১৫টি দল পাঠানো হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গত রাতেই মৃতের সংখ্যা ৪২-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল। এ দিন সকালে আরও ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ মৃত্যুই কুমায়ুন অঞ্চলে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গতকালই আকাশপথে বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। তিনি ঘোষণা করেন, ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের রাজ্য সরকারের তরফে পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও যাদের বাড়ি-ঘর ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিপর্যয়ের কারণে যাঁরা গবাদি পশু হারিয়েছেন, তাঁদেরও সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এদিকে, এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিস্থিতি যাচাই করতে আজই তিনি উত্তরাখণ্ডে যাচ্ছেন। সেখানে আকাশপথে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করবেন তিনি। বিকেলে রাজ্যের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করবেন তিনি। ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য নিয়ে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে।