AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Lawrence Bishnoi: নিজের হাতে এক জনকেও খুন করেনি! তবুও এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর ভয়ে কাঁপে মহারাষ্ট্র থেকে পঞ্জাব

কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার পর স্বস্তিতে নেই পুলিশও। পুলিশের আশঙ্কা বিষ্ণোইয়ের সহযোগীরা পুলিশি হেফাজত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

Lawrence Bishnoi: নিজের হাতে এক জনকেও খুন করেনি! তবুও এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর ভয়ে কাঁপে মহারাষ্ট্র থেকে পঞ্জাব
কুখ্যাত দুষ্কৃতী লরেন্স বিষ্ণোই
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 6:57 PM
Share

নয়াদিল্লি: কুখ্যাত দুষ্কৃতী সে। তার নামে ত্রাস সৃষ্টি হয় এলাকায়। এক ডজনেরও বেশি অপহরণ, খুন, তোলা আদায়ের মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় উপরের দিকেই থাকে তার নাম। পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের মূল ষড়যন্ত্রী হিসাবে উঠে এসেছে তার নাম। সম্প্রতি তাকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। তার পর দিল্লি পুলিশের হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলেই রয়েছে সে। সিধু মুসেওয়ালার খুনের ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। ১০ বছর ধরে হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশে ত্রাস সৃষ্টি করেছে সে। কুখ্যাত দুষ্কৃতী হল লরেন্স বিষ্ণোই। তার বিরুদ্ধে সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এখনও অবধি কোনএ ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করেনি বিষ্ণোই। যদিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ভূরি ভূরি।

বিষ্ণোই নিজে কোনও খুন না করলেও, তার গ্যাঙকে ভয় পান না এমন লোক খুব কমই রয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণোইয়ের অনুগামীরা। বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বে তারা একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করেন বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১০ সালে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ঝামেলার পর প্রকাশ্যে আসে বিষ্ণোইয়ের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঝামেলার সময় শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল বিষ্ণোই। সেটাই তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রথম মামলা। তখন জেলেই গিয়েছিল সে। জেলে ঢুকেই বিষ্ণোই নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলে বন্দি বিভিন্ন অপরাধীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে সে। তার পর তাদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন  অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত করায়। বিভিন্ন গ্যাঙের মধ্যে প্রতিশোধ নিতেও বিষ্ণোইয়ের মাথা কাজ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সলমন খানকে অপহরণের পরিকল্পনাও বিষ্ণোই করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই কাজের জন্য নিজের শাকরেদ সম্পত নেহরাকে পাঠিয়েছিল সে। যদিও নেহরা এখন দিল্লি জেলে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার পর স্বস্তিতে নেই পুলিশও। একটি বিশেষ সেলে আপাতত রাখা হয়েছে তাকে। পুলিশের আশঙ্কা বিষ্ণোইয়ের সহযোগীরা পুলিশি হেফাজত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করতে পারে। সে জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।