নয়া দিল্লি: নয়ডার (Noida) রাজনীতিবিদ শ্রীকান্ত ত্যাগীকে (Shrikant Tyagi) প্রকাশ্যে মহিলাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে শোনা গিয়েছিল। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলেন শ্রীকান্ত। তিনি জানিয়েছেন, ওই মহিলা তাঁর ‘বোনের মতো’ এবং তিনি ‘নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন’। টিভি৯ ভারতবর্ষের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “আমি যেভাবে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলাম, তার জন্য অনুতপ্ত। আমি অনুচিত কাজ করেছি। সমাজে মহিলাদের সম্মান আছে। সেই কারণে এটা বড় ভুল। আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি এবং আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম, পরে বুঝতে পেরছি এই ধরনের ভাষা কারও প্রতি ব্যবহার করা উচিত নয়।”
ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানিয়েছেন তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে তালগাছ লাগানো নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। শ্রীকান্ত বলেন, “প্রাইম লোকেশন বাবদ ফ্ল্যাট নির্মাতারা অতিরিক্ত ৫ শতাংশ টাকা নিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন এর বিনিময়ে ফ্ল্যাটের বাইরে অতিরিক্ত সবুজ এলাকার সুবিধা পাবেন। এমনকী ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি নথিতে এর যাবতীয় উল্লেখ রয়েছে। ২০১৯ সালে আমরা সেখানে তালগাছ লাগিয়েছিলাম এবং ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা দখলের অভিযোগ করতে শুরু করেছিলেন।” বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যাওয়া স্বামী প্রসাদ মৌর্যের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে শ্রীকান্ত ত্যাগী বলেন, ‘আমি মৌর্যের থেকে কখনও কোনও সাহায্য চাইনি এবং তিনি আমাকে কোনও সাহায্য করেননি।’
মহিলাকে অশ্রাব্য গালিগালাজের ভিডিয়ো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন শ্রীকান্ত। মিরাটে এক সহযোগীর বাড়ি থেকে গতকালে ত্যাগীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। নয়ডার গ্র্যান্ড ওম্যাক্স সোসাইটিতে মহিলাকে গালিগালাজের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে কঠোর মনোভাব নিয়েছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। বুলডোজার দিয়ে অবৈধ নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রীকান্ত ত্যাগীর বিরুদ্ধে গুন্ডা দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।