AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৬ বছরের শিশুকে খুন করে ৫০ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি ক্লাস নাইনের পড়ুয়ার

স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত নবম শ্রেণির পড়ুয়া আর মৃত শিশুটির বাড়ি প্রায় কাছাকাছি। মৃত শিশুটিকে শেষ বারের জন্য দেখা যায় ওই পড়ুয়ার সঙ্গে। তারপর আর শিশুটিকে দেখা যায়নি।

৬ বছরের শিশুকে খুন করে ৫০ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি ক্লাস নাইনের পড়ুয়ার
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Dec 16, 2020 | 5:01 PM
Share

লখনউ : প্রথমে বন্ধু হয়ে মেলামেশা। তারপর, খেলতে খেলতে ভুলিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন(Murder) করে মাটিতেই কবর দেওয়া। নবম শ্রেণির পড়ুয়ার(Student) এমন কীর্তিতে হতবাক প্রশাসন। লখনউয়ের(Lucknow) মহারাজগঞ্জের(Maharajganj) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মহারাজগঞ্জের(Maharajganj) পুলিস।

আরও পড়ুন :  ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু গাড়ির মালিকের

পুলিস সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় মৃত শিশুর মা স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডাইরি করেন। সেই রাতেই বাড়িতে একটি চিঠি পান মৃতের মা। চিঠিতে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ(Ransom) দাবি করা হয়। পুলিসি অনুসন্ধানের পর জানা যায় মৃত শিশুটিকে শেষবার ওই পড়ুয়ার সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। অনতিপরেই, ওই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিস। প্রাথমিক জেরায় ধৃত পড়ুয়া তার অপরাধ স্বীকার করে। মৃতের বাড়ির থেকে ১০০ মিটার দূরেই শিশুটিকে খুন (Murder)করে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দেয়। গোটা ঘটনাটি মাত্র কুড়ি মিনিটে সম্পন্ন করে সে। ধৃতের বয়ানে বর্ণিত স্থান থেকেই বস্তায় মোড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস।

আরও পড়ুন: মমতা লড়ুক, আমরাও লড়ব, বিজেপি বিরোধিতার প্রতিযোগিতা হোক: দীপঙ্কর ভট্টাচার্য

স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত নবম শ্রেণির পড়ুয়া আর মৃত শিশুটির বাড়ি প্রায় কাছাকাছি। মৃত শিশুটিকে শেষ বারের জন্য দেখা যায় ওই পড়ুয়ার সঙ্গে। তারপর আর শিশুটিকে দেখা যায়নি। পুলিস পড়ুয়াটিকে সন্দেহভাজনের তালিকায় আনলে তাতেও তীব্র আপত্তি করেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন : বাড়িতেই খুন করে দাহ করা হয় অর্জুনকে, নেপথ্যে কি তন্ত্র সাধনা? সল্টলেকে ব্যবসায়ী খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়

প্রাথমিক জেরায় অপরাধ কবুল করার পর ছেলেটির পাল্টা অভিযোগ মৃত শিশুটির পরিবার বিভিন্ন সময়ে তাকে উত্যক্ত করত। খারাপ ব্যবহার করত। তাই তাঁদের শিক্ষা দিতেই এই কাজ করে সে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, মানসিক আঘাত অনেক সময়ে শিশুদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। পুলিসি হেফাজতে থাকা ওই পড়ুয়াকে শীঘ্রই কিশোর ন্যায়বিচার আদলতে তোলা হবে জানিয়েছে পুলিস প্রশাসন।