কার্গিল-‘নায়ক’কে সংরক্ষণ করতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার
সোমবার শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী প্রতিরক্ষামন্ত্রকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক রণতরী আইএনএস বিরাটকে সংরক্ষণ করতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার।
নয়া দিল্লি: আইএনএস বিরাটের (INS Viraat) পরিণতিও কি আইএনএস বিক্রান্তের মতোই হবে! শেষ পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হবে ঐতিহ্যবাহী রণতরী। এই দুশ্চিন্তা থাকলেও সমাধান ছিল না। একাধিকবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি গৌরবময় এই রণতরীকে সংরক্ষণ করা। অবশেষে এই যুদ্ধ জাহাজকে ভেঙে ফেলার দায়িত্ব নিয়েছিল শ্রী রাম গ্রুপ।
কিন্তু আজ, সোমবার শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী প্রতিরক্ষামন্ত্রকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক রণতরী আইএনএস বিরাটকে সংরক্ষণ করতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার। চিঠিতে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন,”গুজরাটের আলংয়ে আইএনএস বিরাট ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে শুনে আমি দুঃখিত।” আইএনএস বিরাটকে সংরক্ষণের জন্য অনাপত্তি পত্র চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
তবে ইতিমধ্যেই আইএনএস বিরাটকে নিয়ে যেভাবে জলঘোলা হয়েছে, সেখানে অনাপত্তি পত্র পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আলাংয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই রণতরী ভেঙে ফেলার কাজ। তবে শ্রী রাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ পাটেল সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যদি পুরো টাকা দেওয়া হয় এবং সরকার প্রদত্ত অনাপত্তি পত্র আসে তাহলেই এই প্রক্রিয়ায় আইএনএস বিরাটের সংরক্ষণ সম্ভব।
আরও পড়ুন: টিকল না যুদ্ধবিরতি! আর্মেনিয়াকে ‘ধ্বংস’ করে দেওয়ার হঁশিয়ারি আজারবাইজানের
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে শ্রীলঙ্কায় শান্তি রক্ষায় অপারেশন জুপিটারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল আইএনএস বিরাট। আইএনএস বিরাট থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হত ভারতীয় হেলিকপ্টার ‘ধ্রুব’ ও রাশিয়ার ‘কামোভ-৩১’। ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলার পর সন্ত্রাস দমনে অপারেশন ‘পরাক্রমের’ অংশ ছিল আইএনএস বিরাট। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে করাচি বন্দরের উপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে এই রণতরী। সমুদ্রে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ভারতের জল সীমানা রক্ষা করেছে ৩০ বছর।
আরও পড়ুন: গৌরবময় ৩০ বছর! আইএনএস বিরাটের শুরু থেকে শেষের কথা