Aryan Khan Drug Case: ‘অপহরণ করা হয়েছিল আরিয়ানকে’, বিস্ফোরক নবাব মালিক, মুখ খোলার অনুরোধ শাহরুখকেও
Nawab Malik Press Conference on Aryan Khan Drug Case: নবাব মালিকের দাবি, মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খানকে আটক করার পর থেকেই শাহরুখ খানকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর ম্যানেজার পুজা দাদলানির নাম সামনে আসার পর, এখনও শাহরুখ খানকে ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে তিনি এই বিষয়ে মুখ না খোলেন।
মুম্বই: গ্রেফতার নয়, পরিকল্পনা ছিল আরিয়ান খান (Aryan Khan)-কে অপহরণের(Kidnapping)! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। মুম্বইয়ের প্রমোদতরী থেকে মাদক চক্রের (Mumbai Cruise Drug Case) খোঁজ ও শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের খানের গ্রেফতারি- গোটা ঘটনাটিই “অপহরণ ও মুক্তিপণে”র বলে দাবি করলেন নবাব মালিক।
শনিবারই বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ দাবি করেছিলেন, মাদক কাণ্ডের “মাস্টারমাইন্ড” সুনীল পাটিল নামক এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে বিগত ২০ বছর ধরে এনসিপির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এ দিন পাল্টা অভিযোগ এনে মোহিত কম্বোজকেই প্রধান চক্রী বলে দাবি করলেন নবাব মালিক।
এ দিন সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে মহারাষ্ট্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী নবাব মালিক বলেন, “আরিয়ান খান ওই ক্রুজ পার্টির জন্য টিকিট কাটেননি। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালাই তাঁকে ওই পার্টিতে এনেছিলেন। গোটা ঘটনাটিই অপহরণ ও মুক্তিপণের। মোহিত কম্বোজ গোটা ঘটনার প্রধান চক্রী। সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গেই মিলিতভাবে তিনি মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।”
নবাব মালিকের দাবি, মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খানকে আটক করার পর থেকেই শাহরুখ খানকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর ম্যানেজার পুজা দাদলানির নাম সামনে আসার পর, এখনও শাহরুখ খানকে ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে তিনি এই বিষয়ে মুখ না খোলেন। তিনি শাহরুখ খানকে এই বিষয়ে মুখ খোলার জন্য অনুরোধও করেন। তিনি বলেন, “আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হলে, তার জন্য যদি আপনি মুক্তিপণ দেন, তা কোনও অপরাধ নয়।”
মোহিত কম্বোজ ও সমীর ওয়াংখেড়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মোহিত কম্বোজের। ৭ অক্টোবর রাতে তারা কবরস্থানে একটি চিঠি নিয়ে দেখাও করেন।” সম্প্রতিই এনসিবি রিষভ সচদেভা, প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালাকে মুক্তি দেওয়ায় এনসিপি নেতা বলেন, “রিষভ সচদেভা মোহিত কম্বোজের জামাইবাবু। গোটা ঘটনাটিই এই তিন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।”
এদিকে, সুনীল পাটিলের সঙ্গে দেখা করার দাবিও অস্বীকার করেন নবাব মালিক। তিনি বলেন, “আমি কখনওই সুনীল পাটিলের সঙ্গে দেখা করিনি। যে ছবিগুলি মোহিত কম্বোজ দেখিয়েছেন, তাতে সুনীল পাটিলের সঙ্গে গুজরাটের মন্ত্রীকেও দেখা যাচ্ছে।”
তাঁর আরও সংযোজন, “আমার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকের পরই সুনীল পাটিল আমায় ফোন করে এবং এই মাদক মামলায় বেশ কিছু তথ্য জানাতে চায় বলে জানায়। আমি জবাবে তাঁকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। সুনীল নিজেই জানায় যে তাঁকে গুজরাটে বাধা দেওয়া হয়েছে। ”
প্রমোদতরীতে পার্টির আয়োজক ফ্যাশন টিভি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাশিফ খানকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নবাব মালিক। তিনি বলেন, “কাশিফ খানের কাছ থেকে স্মোকিং রোল বাজেয়াপ্ত করা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হল না কেন?” গোটা ঘটনাকেই একটি চক্রান্ত বলে অ্যাখ্য়া দিয়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর দাবি, রাজ্য মন্ত্রী আসলাম শেখকেও ক্রুজ পার্টিতে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্র সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই ফাঁদ পাতা হয়েছিল বলে দাবি তাঁর।