Male Contraceptive: ভারতে তৈরি পুরুষের গর্ভনিরোধক ৯৯ শতাংশ সফল: রিপোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 06, 2023 | 1:29 PM

Male Contraceptive: গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা কতটা থাকছে, তা নিরীক্ষণ করেই সাফল্যের বিচার করেছেন বিষেশজ্ঞরা। গবেষকদের টিমের অন্যতম প্রধান আরএস শর্মা জানিয়েছেন, মূলত দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই সাফল্যের কথা বলা হয়েছে।

Male Contraceptive: ভারতে তৈরি পুরুষের গর্ভনিরোধক ৯৯ শতাংশ সফল: রিপোর্ট
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

নয়া দিল্লি: এতদিন পর্যন্ত গর্ভনিরোধক ছিল শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। পুরুষের ক্ষেত্রে উপায় বলতে ছিল শুধুমাত্র ভ্যাসেকটমি। তবে বিপ্লব আনছে ভারতীয় সংস্থা আইসিএমআর। পুরুষের জন্য গর্ভনিরোধক তৈরি হওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়েছে আগেই। এবার জানা গেল সাফল্যের কথা। ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, ৯৯ শতাংশ সফল RISUG নামে সেই গর্ভনিরোধক। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেই যা প্রবেশ করবে পুরুষের শরীরে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, RISUG ব্যবহার করলে সঙ্গীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা হবে প্রায় শূন্য। আইসিএমআর-এর সেই ট্রায়ালের রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে অ্যান্ড্রোলজি নামে একটি জার্নালে। সেখানেই ৯৯ শতাংশ সাফল্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ভ্যাসেকটমি বা নির্বীজকরণ ছিল মূলত অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এই RISUG। ৩০৩ জনের ওপর এই ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা কতটা থাকছে, তা নিরীক্ষণ করেই সাফল্যের বিচার করেছেন বিষেশজ্ঞরা। গবেষকদের টিমের অন্যতম প্রধান আরএস শর্মা জানিয়েছেন, মূলত দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই সাফল্যের কথা বলা হয়। প্রথমত, শুক্রানুর উপস্থিতি কমছে কি না, দ্বিতীয়ত, সঙ্গী গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে কি না। দুই ক্ষেত্রেই সাফল্য দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

গবেষক আরও জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক গবেষণাই ধাক্কা খেয়েছিল, RISUG তার মধ্যে অন্যতম। তবে আপাতত সেই গর্ভনিরোধকের পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই গর্ভনিরোধকের ব্যবহারের ছাড়পত্র শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

রিপোর্ট বলছে, ইঞ্জেকশন নেওয়ার ২১ দিন পর দেখা যাচ্ছে, ৭৭ শতাংশের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে এমন শুক্রানুর উপস্থিতি কমছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে azoospermia (আজুস্পার্নিয়া)। আর ১৩.৫ শতাংশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শুক্রানুর পরিমাণ কমছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে oligozoospermia (ওলিগোজুস্পার্নিয়া)। ৬ মাস পরে আজুস্পার্নিয়ার মাত্রা বেড়ে হচ্ছে ৯৭.২ শতাংশ আর এক বছর পর সেই মাত্রা আরও বেড়ে হচ্ছে ৯৭.০৩ শতাংশ। ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, পুরুষ বা তাঁর সঙ্গী, কারও ক্ষেত্রেই কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে না।

ফ্যামিলি প্ল্যানিংএ-র জন্য ক্লিনিকে এসেছিলেন, এমন ৩০৩ দম্পতিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। নয়া দিল্লি, উধমপুর, লুধিয়ানা, জয়পুর ও খড়গপুর- দেশের এই পাঁচটি জায়গায় এই ট্রায়াল সম্পন্ন হয়।

Next Article