AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake Degree: পড়াশোনা কী জিনিস? ৭০ হাজারেই হাতে ডিগ্রি, এইট পাসও ফলাচ্ছেন ডাক্তারি!

Crime: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বদলে বোর্ড অব ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের ডিগ্রি দিত অভিযুক্তরা। তল্লাশি চালিয়ে শতাধিক আবেদনপত্র, ভুয়ো সার্টিফিকেট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।

Fake Degree: পড়াশোনা কী জিনিস? ৭০ হাজারেই হাতে ডিগ্রি, এইট পাসও ফলাচ্ছেন ডাক্তারি!
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Meta AI
| Updated on: Dec 06, 2024 | 7:18 AM
Share

সুরাট: পড়াশোনা আবার কেউ করে নাকি? এখন তো ‘ফেল কড়ি, মাখো তেল’! ভুয়ো সার্টিফিকেট গ্যাং-কে হাতেনাতে ধরে এমনটাই উপলব্ধি পুলিশের। জেরায় জানা গেল, বিভিন্ন কোর্সের ভুয়ো ডিগ্রি বানিয়ে দেন তারা। এমনকী, ডাক্তারির ভুয়ো ডিগ্রিও পাওয়া যায়। খরচ যৎসামান্য। ৭০ হাজার টাকা দিলে অষ্টম শ্রেণি পাসও ডাক্তারির ডিগ্রি পেতে পারেন।

ভুয়ো ডিগ্রির চক্রের খোঁজ মিলেছে গুজরাটের সুরাটে। তাদের কাছ থেকে ডেটাবেসে ১২০০ ভুয়ো ডিগ্রির হদিস মিলেছে। সেই তথ্যসূত্র ধরেই ১৪ জন ভুয়ো চিকিৎসককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এরা সকলেই ওই গ্যাং থেকে ভুয়ো ডিগ্রি কিনেছিল এবং সেই ডিগ্রি দেখিয়েই প্রাকটিস করছিল। গোটা চক্রের মূল মাথা, ডঃ রমেশ গুজরাটিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বদলে বোর্ড অব ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের ডিগ্রি দিত অভিযুক্তরা। তল্লাশি চালিয়ে শতাধিক আবেদনপত্র, ভুয়ো সার্টিফিকেট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতিই তাদের কাছে খবর এসেছিল যে কিছু চিকিৎসক ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন। রাজস্ব বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ হানা দেয় শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে। সেখানেই ভুয়ো ডাক্তারদের হদিস মেলে।

বোর্ড অব ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের যে ডিগ্রি দিত অভিযুক্তরা, আদতে গুজরাট সরকার এমন কোনও ডিগ্রিই দেয় না। অভিযুক্তরা ভুয়ো ওয়েবসাইটে তাদের ডিগ্রির রেজিস্ট্রেশন দেখাত। মূল অভিযুক্ত মনগড়া এই বোর্ড তৈরি করে ভুয়ো ডিগ্রি দিচ্ছিল টাকার বিনিময়ে। ‘ইলেকট্রো-হোমিওপ্যাথি’র প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৫ জন কর্মীও রাখা হয়েছিল। তিন বছরের কম সময়েই ডিগ্রি কোর্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যেত।

ভুয়ো চিকিৎসকরাও কম যান না। সাধারণ মানুষ ইলেকট্রো-হোমিওপ্যাথিতে বিশ্বাস করছেন না দেখে দাবি করেন, গুজরাটের আয়ুষ মন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এই বোর্ড। ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি, আরোগ্য প্রাকটিস করতেন তারা।

এই ভুয়ো সার্টিফিকেট আবার বছর বছর রিনিউ করতে হত। এর জন্য ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা চার্জ নেওয়া হত। যে ভুয়ো চিকিৎসকরা এই টাকা দিতেন না, তাদের এই ডিগ্রি গ্যাং হুমকি দিত, ভয় দেখাত।