নিছক কূটনীতি নয়, প্রতিনিধি পাঠিয়ে বৃহত্তর বার্তা দিতে চাইছে মোদী সরকার
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট সাতজন প্রতিনিধি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই বার্তা দেবেন যে পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সরাসরি যোগ রয়েছে।

নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের সন্ত্রাস-ঘাঁটি নির্মূল করতে ভারতের সামরিক অভিযান সম্পর্কে বার্তা দিতে এবার প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে ভারত। বিভিন্ন দেশে সেই বার্তা পৌঁছে দেবেন ওই প্রতিনিধিরা। আর সেই প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে থাকছেন শাসক-বিরোধী সব দলের সাংসদরা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কি নিছকই কূটনীতি? নাকি রয়েছে বৃহত্তর কোনও তাৎপর্য?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে দেশে বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল রয়েছে, সেই দেশের জন্য ঐক্যের বার্তা দেওয়া খুব জরুরি। বিশেষত জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই বার্তা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে এই ইস্যুতে সবাই এক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট সাতজন প্রতিনিধি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই বার্তা দেবেন যে পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সরাসরি যোগ রয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সন্ত্রাস যোগের কথাও বলা হবে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কেও তথ্য় দেওয়া হবে আমেরিকা, রাশিয়ার মতো দেশগুলিকে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটা ভারতের এক পুরনো কৌশল। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাও জেনেভায় পাঠিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী ও ফারুক আব্দুল্লাহকে। আর সেই সময় বিশ্বের সামনে খুলে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের মুখোশ। ২০০৮-এর মুম্বই হামলার পর একই কৌশল নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেই সময়ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে। সেই প্রতিনিধি পাঠানোর পর পাকিস্তানের চেহারাটা বিশ্বের সামনে এসে গিয়েছিল। এমনকী ওই পদক্ষেপের পরই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের গ্রে লিস্টে ফেলে দেওয়া হয় পাকিস্তানকে।
