Bhopal: ছেড়ে গিয়েছেন স্বামী, ছেলেকে সেনা কর্তা বানানোর স্বপ্নে রিকশা চালিয়ে এগিয়ে চলেছেন জ্যোতি

MP woman drives e-rickshaw: ট্যাক্সির স্টিয়ারিংয়ে মহিলা চালক দেখা গেলেও, কোনও মহিলা রিক্সা চালাচ্ছেন, এমন দৃশ্য একেবারেই বিরল।

Bhopal: ছেড়ে গিয়েছেন স্বামী, ছেলেকে সেনা কর্তা বানানোর স্বপ্নে রিকশা চালিয়ে এগিয়ে চলেছেন জ্যোতি
পিছনে ১১ বছরের ছেলেকে বসিয়ে রিকশা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন জ্যোতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2022 | 6:33 PM

ভোপাল: ট্যাক্সি চালাচ্ছেন মহিলা চালক, এমন দৃশ্য তাও দেখা যায়। কিন্তু, কোনও মহিলা রিক্সা চালাচ্ছেন, এমন দৃশ্য একেবারেই বিরল। রিক্সা চালানো নিয়ে তাঁকে টিকা-টিপ্পনিও কম শুনতে হয়নি। নানারকম বাধারও সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু, তারপরও দমিয়ে রাখা যায়নি জ্যোতি ভার্মাকে। ছেলেকে সেনা কর্তা তৈরি করার স্বপ্নের সামনে সব বাধাই তুচ্ছ করেছেন তিনি।

৩৮ বছরের জ্য়োতি ভার্মার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের জুমেরাতি এলাকায়। দেড় বছর আগে, তাঁর স্বামী জ্যোতি এবং তাঁদের ছেলেকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তারপর থেকে ছেলেকে মানুষ। করার গুরুভার এসে পড়েছে জ্যোতির উপরই। আর এর জন্যই তিনি একটি তিন চাকার ই-রিক্সা চালানো শুরু করেছেন। শুরুতে অবশ্য একটি ইডলি-ধোসার দোকান দিয়েছিলেন তিনি। কিন্ত, সেই দোকান চালাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের সমস্যার পড়েছিলেন। তারপর লোকের বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ নিয়েছিলেন। সেই নিয়ে আবার অন্যান্য শিশুরা তাঁর ছেলের সঙ্গে মজা করতে শুরু করেছিল। শেষ পর্যন্ত রিক্সা চালানোর রাস্তা বেছে নেন তিনি।

ই-রিক্সা কেনার জন্য তিনি তাঁর গয়না বিক্রি করে দিয়েছিলেন। শুরু শুরুতে তাঁকে অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু, মনের জোরে সেই সব বাধা টপকে গিয়েছেন জ্যোতি। প্রতিদিন তিনি ভোপালের বন বিহার এবং লেক ভিউ এলাকায় ই রিক্সাটি চালান। স্কুলের পর জ্যোতির ১১ বছরের ছেলেও এসে রিক্সায় বসে। সময় পেলে, রিক্সাতেই ছেলেকে পড়াশোনা করান জ্যোতি। তাঁর রিক্সায় সওয়ার হওয়া ব্যক্তিরা তাঁর রিক্সায় উঠে খুশিই হন। তাঁরা জানিয়েছেন, সংসার চালানোর জন্য জ্যোতি যেভাবে রিক্সা চালাচ্ছেন, তা অন্যান্য মহিলাদের কাছে অনুপ্রেরণার।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জ্যোতি বলেছেন, “আশেপাশের লোকজন আমাকে নিয়ে মজা করে। কিন্তু, আমি তাদের সামনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকি। এখানে যারা রিকশা চালায়, তারাও আমাকে নানাভাবে কষ্ট দেয়। কিন্তু আমার ছেলেকে সেনা আধিকারিক হতে হবে, তাই আমি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। আজকের আধুনিক যুগেও এই ধরনের কাজ করা মহিলাদের পক্ষে সহজ নয়। অটো চালকরাও আমাকে খুব বিরক্ত করে। অনেক সময় তারা আমাকে অটো-স্ট্যান্ডে দাঁড়াতেও দেয় না। তবে, আমি সবসময় ইতিবাচক থাকি।”