নিজের কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গ তুলে বাংলায় কর্মীদের পরিস্থিতি বোঝালেন নড্ডা

দলের সর্বভারতীয় সভাপতিত্বের পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার আগে মাস ছয়েক কার্যকরী সভাপতি হিসাবে কাজ করেছেন জে পি নড্ডা। গত বছর ২০ জানুয়ারি পূর্ণ দায়িত্ব পান তিনি

নিজের কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গ তুলে বাংলায় কর্মীদের পরিস্থিতি বোঝালেন নড্ডা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2021 | 6:43 PM

নয়া দিল্লি: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিত্ব এক বছর পূর্ণ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নড্ডা। কেমন কাটল এই একটা বছর? তাঁর পূর্বসূরী অমিত শাহ যে অশ্বমেধের ধ্বজা উড়িয়ে গিয়েছেন, তা কি অব্যাহত রাখতে পারলেন? বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরলেন নড্ডা। পাশাপাশি, চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে ভুললেন না বছর ষাটের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

দলের সর্বভারতীয় সভাপতিত্বের পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার আগে মাস ছয়েক কার্যকরী সভাপতি ছিলেন জে পি নড্ডা। গত বছর ২০ জানুয়ারি পূর্ণ দায়িত্ব পান তিনি। এরপর তাঁর নেতৃত্বে বিহার বিধানসভা নির্বাচন-সহ বিভিন্ন রাজ্য়ের একাধিক উপ নির্বাচনে বিজেপি উল্লেখযোগ্য ফল করে। চিঠিতে সে কথা উল্লেখ করে নড্ডা জানান, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রত্যেক নির্বাচনে ভাল ফল করেছে বিজেপি। বিহার নির্বাচনেও দারুণ সাফল্য পেয়েছে। পাশাপাশি, জয় অব্যাহত থেকেছে মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, মণিপুর, কর্নাটক, অরুণাচল প্রদেশের উপনির্বাচনে। এই জয়ের পিছন মোদী সরকারের উন্নয়ন অনুঘটকের কাজ করেছে বলে নড্ডার দাবি।

আরও পড়ুন- রাম মন্দির নির্মাণে ‘সামান্য অনুদান’ গম্ভীরের, দিলেন ১ কোটি টাকা

তবে, নড্ডার এই চিঠিতে অনেকটা অংশ জুড়ে গুরুত্ব পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ভোটমুখী পরিস্থিতি। তিনি বলেন, “আমার মতো দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের সভাপতি যদি বাংলায় গিয়ে হামলার মুখে পড়েন, তাহলে একজন সাধারণ বিজেপি কর্মীর কাছে সেখানে কাজ করা কতটা শক্ত, বোঝা যায়।” এই পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার বলে জানান নড্ডা। তিনি আরও বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, কৃষি আইন এবং চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে কংগ্রেসের ভুয়ো প্রচারকে রুখতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।” লকডাউনে ৩০ কোটি মানুষকে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। তাঁর আরও দাবি, অতিমারি পরিস্থিতিকে ভারত যেভাবে মোকাবিলা করেছে, এক মাত্র নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।