AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভাঙা হবে বিমানবন্দরের পাশে সমস্ত উঁচু উঁচু বিল্ডিং! বড় নির্দেশ উড়ান মন্ত্রকের

Aviation Rules: এই বিলে স্পষ্ট বলা রয়েছে, এয়ারডোম জ়োনের অধীনে থাকা বিল্ডিং ও গাছ, যা উচ্চতার সীমা লঙ্ঘন করছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে বিমান চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি না হয়।

ভাঙা হবে বিমানবন্দরের পাশে সমস্ত উঁচু উঁচু বিল্ডিং! বড় নির্দেশ উড়ান মন্ত্রকের
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Meta AI
| Updated on: Jun 19, 2025 | 7:07 AM
Share

নয়া দিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা। বড় সিদ্ধান্ত নিল অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রক। আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই বিজে হস্টেলের উপরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার পর একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠেছিল নিরাপত্তা নিয়ে, তেমনই বিমানবন্দরের আশেপাশে উচু ইমারত বা বিল্ডিংয়ে ধাক্কা লাগার ঝুঁকি নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছিল। এবার এই উঁচু উঁচু বিল্ডিং তৈরিতে রাশ টানতেই বড় সিদ্ধান্ত  অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের।

আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন একটি খসড়া বিল আনল অসামরিক উড়ান মন্ত্রক। এয়ারক্রাফ্ট (ডেমোলিশন অব অবস্ট্রাকশনস) রুলস ২০২৫ শীর্ষক এই খসড়া বিলে বিমানবন্দরের আশেপাশে বিল্ডিংয়ের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। যে বিল্ডিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি রয়েছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৮ জুন এই খসড়া বিল প্রকাশ করা হয়। শীঘ্রই অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশিত হবে। তখন থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। এই বিলে স্পষ্ট বলা রয়েছে, এয়ারডোম জ়োনের অধীনে থাকা বিল্ডিং ও গাছ, যা উচ্চতার সীমা লঙ্ঘন করছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে বিমান চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি না হয়।

খসড়া বিলে বলা হয়েছে, যদি বিমানবন্দর বা অ্যারোডোমের আশেপাশে কোনও বিল্ডিং প্রস্তাবিত উচ্চতার সীমা লঙ্ঘন করে, তবে অ্যারোডোমের অফিসার ইনচার্জ নোটিস পাঠাবেন। ওই বিল্ডিংয়ের মালিককে বিল্ডিংয়ের প্ল্যান থেকে শুরু করে আয়তন-উচ্চতা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ৬০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। যদি কেউ তা না করেন, তবে বিল্ডিংয়ের উচ্চতা কমিয়ে দেওয়া, এমনকী সম্পূর্ণ বিল্ডিং ভেঙে দেওয়াও হতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, যদি ডিজিসিএ বা কোনও অফিসার উচ্চতা সীমা লঙ্ঘন দেখতে পান, তবে তারাও সরাসরি বাড়ি মালিককে নির্দেশ দিতে পারেন গাছ কাটা বা বিল্ডিং ভাঙার জন্য। ৬০ দিনের মধ্যে সেই নির্দেশ পালন করতে হবে। যদি বৈধ কোনও কারণ দেখানো হয়, তবে তা সর্বাধিক আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দরের আশেপাশে কোন বিল্ডিংয়ের উচ্চতা কতটা, তা ভেরিফিকেশনের জন্য আধিকারিকরা বিল্ডিংয়ের মালিককে জানিয়ে দিনের বেলা পরিদর্শনে যেতে পারবেন বলেই জানানো হয়েছে। যদি কেউ অসহযোগিতা করে, তবে ডিজিসিএ ও জেলাশাসককে রিপোর্ট করতে হবে। জেলাশাসকই গাছ কাটা বা বিল্ডিং ভাঙার কাজ করবেন। যদি বিমানবন্দরের আশেপাশে কোনও অবৈধ বিল্ডিং বা নির্মাণ থাকে, সেক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করে তা সরিয়ে বা ভেঙে ফেলা হবে।

যাদের বিল্ডিং ভাঙা পড়বে বা গাছ কাটা যাবে, তারা ক্ষতিপূরণও পাবেন। ভারতীয় বায়ুযান অধিনিয়মের ২২ ধারার অধীনে তারা বৈধ নথি ও প্রমাণ নিয়ে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারবেন। তবে সরকারি নির্দেশিকা জারির পর যদি কোনও নতুন বিল্ডিং বা কাঠামো তৈরি করা হয়, যা উচ্চতাসীমা লঙ্ঘন করছে, তারা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে  না।