Tripura Ministers Swearing-In: ত্রিপুরায় ‘মানিক যুগ’ শুরু, আজই শপথ ১১ মন্ত্রীর, তালিকায় কে কে?

New Chief Minister: মুখ্যমন্ত্রী বদল হওয়ার পর সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী এবার ত্রিপুরাতে নয়া মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করবে। সোমবার, আজই এই নয়া মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করবে।

Tripura Ministers Swearing-In: ত্রিপুরায় 'মানিক যুগ' শুরু, আজই শপথ ১১ মন্ত্রীর, তালিকায় কে কে?
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 4:00 PM

আগরতলা: আকস্মিকভাবে শনিবারই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। দীর্ঘদিন ধরের উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের বিজেপি নেতা কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের উপর ক্ষোভ ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছিল। একাধিকবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রাক্তন জিম ইনস্ট্রাক্টর বিপ্লবের নামে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। বিপ্লবের মুখ্যমন্ত্রিত্বে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিরারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। মুখ্যমন্ত্রী বদল হওয়ার পর সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী এবার ত্রিপুরাতে নয়া মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করবে। সোমবার, আজই এই নয়া মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করবে। বিজেপির ৯ জন বিধায়ক এবং আইপিএফটির ২ বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করবেন। আইপিএফটির মেবার কুমার জামাটিয়া ছাড়া বিপ্লব ক্যাবিনেটের সকলেই নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। বিপ্লব মন্ত্রিসভার আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এবং পিপলস ফ্রন্ট ত্রিপুরার প্রধান এনসি দেববর্মার বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। আজ নতুন মন্ত্রিসভাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল এসএন আর্য। রাজভবনেই হবে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ছাড়াও, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

রবিবার রাতে রাজ্যের রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে মানিক সাহা জানিয়েছেন, “জিষ্ণু দেব ভার্মা, এনসি দেববর্মা, রতন লাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহ রায়, মনোজ কান্তি দেব, সান্তনা চাকমা, রাম প্রসাদ পাল, ভগবান দাস, সুশান্ত চৌধুরী, রামপদ জামাতিয়া এবং প্রেম কুমার রেয়াং আগামিকাল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।” রবিরারই মানিক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করেছেন। তবে বিপ্লবের পদত্যাগে রাজ্য বিজেপিতে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। অনেক বিজেপি নেতা-কর্মীকে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা গিয়েছে।

বিপ্লবের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল। অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিলেন। আগামি বছরই ত্রিপুরাতে বিধানসভা নির্বাচন, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যে একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন, বিপ্লবের নেতৃত্বে ভোটে লড়লে ফলাফল ভাল না হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। সেখানেই বিপ্লবকে অপসারণের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এখন নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে কতটা লাভবান করতে পারে, সেটাই এখন দেখার।