New Criminal Law for Women: ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ অথবা ‘প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক’, নতুন ক্রিমিনাল ল-তে কী কী বদল এল

Jul 01, 2024 | 7:12 PM

New Criminal Law for Women: বহু বছর ধরে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। নির্ভয়া ধর্ষণ মামলার পর বিচারপতি ভার্মা কমিটিও বৈবাহিক ধর্ষণের জন্য আলাদা আইনের দাবি জানিয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে নতুন আইনে কী বলা হল?

New Criminal Law for Women: বৈবাহিক ধর্ষণ অথবা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক, নতুন ক্রিমিনাল ল-তে কী কী বদল এল
প্রতীক ছবি
Image Credit source: TV9 Network

Follow Us

নয়া দিল্লি: আইপিসি, সিআরপিসি এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট- এই তিনটি আইনে, বদল এনেছে মোদী সরকার। ফলে, ১ জুলাই থেকে বদলে গিয়েছে সব নিয়ম। এখন থেকে নতুন আইন অনুসারে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি হবে।
গত বছর সংসদের উভয় কক্ষে বিল পাস হয়।

আগে আইপিসিতে ৫১১টি ধারা ছিল, থাকছে ৩৫৮টি। সিআরপিসিতে ৪৮৪টি ধারা ছিল, এখন ভারতীয় সিভিল ডিফেন্স কোডে ৫৩১টি ধারা রয়েছে এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে রয়েছে ১৬৬টি ধারা। মহিলাদের হেনস্থা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনে বদল আনা হয়েছে। কী কী বদল আনা হয়েছে, জানুন-

ধর্ষণের ধারায় বদল

ধর্ষণের অভিযোগে আগে ৩৭৫ ধারায় মামলা হত, এখন সেই ধারা হল ৬৩। ৬৪ থেকে ৭০ ধারায় শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। এর
আগে আইপিসি ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের কথা ছিল আর ৩৭৬ ধারায় শাস্তির বিধান ছিল। আইপিসি-র ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি নির্দিষ্ট ছিল, নতুন আইনে ৬৪ ধারাতেও একই শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

নাবালিকাদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হল, তাহলে গণধর্ষণে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এর আগে আইনে বলা ছিল, ১২ বছরের কম বয়সী নাবালিকাকে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ বছরের বেশি বয়সীর ক্ষেত্রে গণধর্ষণের অভিযুক্তের হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

বৈবাহিক ধর্ষণ

বহু বছর ধরে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। নির্ভয়া ধর্ষণ মামলার পর বিচারপতি ভার্মা কমিটিও বৈবাহিক ধর্ষণের জন্য আলাদা আইনের দাবি জানিয়েছিল।

নতুন আইনে বৈবাহিক ধর্ষণের কথা উল্লেখ না থাকলেও বলা হয়েছে একজন পুরুষ যদি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না, যদি স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হয়। অর্থাৎ নাবালিকা স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করা অপরাধ।

মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক

ফৌজদারি আইনে, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনতাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর জন্য ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।

নতুন আইনে ৬৯ নম্বর ধারা অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি বিয়ে, চাকরির নামে প্রতারণা করে কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ জন্য ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। জেল ও জরিমানা উভয়ও হতে পারে।

যদি কোনও ব্যক্তি তাঁর পরিচয় গোপন করে বিয়ে করেন, তাহলে তাঁকেও ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হবে।

Next Article