Newly married: একসঙ্গে পথ চলার শপথের আয়ু মাত্র ২৪ ঘণ্টা, নবদম্পতির পরিণতিতে শোকস্তব্ধ পরিবার

Uttar pradsh news: রাতে স্ত্রীকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমোতে যান প্রতাপ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রতাপ ও পুষ্পার নিথর দেহ।

Newly married: একসঙ্গে পথ চলার শপথের আয়ু মাত্র ২৪ ঘণ্টা, নবদম্পতির পরিণতিতে শোকস্তব্ধ পরিবার
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2023 | 9:01 PM

বাহারাইচ: সামাজিক রীতিনীতি মেনেই বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন পাত্র। তারপর রাতে যুগলে ঘরে ঘুমোতে যেতেই ঘটে গেল অঘটন। পরদিন সকালে বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল নবদম্পতির নিথর দেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) বলরামপুর জেলার কাইসারগঞ্জে। কীভাবে নবদম্পতির মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও হামলা বা আত্মহত্যার কোনও চিহ্ন নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart attack) হয়েই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু, কীভাবে দুজনেই একসঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন, এমনই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে মৃত দম্পতির পরিবার থেকে তদন্তকারীদের মনে।

পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতির নাম প্রতাপ যাদব (২৪) ও পুষ্পা যাদব (২২)। বলরামপুর জেলার কাইসারগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা প্রতাপের সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিয়ে হয়েছিল পুষ্পার। বুধবার পুষ্পাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন প্রতাপ। তারপর রীতিনীতি মেনে ঘরোয়া অনুষ্ঠান পালন করেন। মৃত্যু পর্যন্ত একসঙ্গে পথ চলার শপথ নেন। রাতে স্ত্রীকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমোতে যান প্রতাপ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রতাপ ও পুষ্পার নিথর দেহ।

বলরামপুরের এসপি প্রশান্ত বার্মা জানান, মৃত দম্পতির দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধরা পড়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও তাঁদের কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না বলে দুই পরিবারের দাবি। তাঁদের দেহে আঘাতেরও কোনও চিহ্ন নেই। ফলে কীভাবে একই রাতে দুজনে একসঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার তদন্তে ওই ঘরের নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক আধিকারিকেরা।

কাইসারগঞ্জ থানার আইসি রাজনাথ সিং জানান, দুজনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় কিছু একটা ঘটেছিল বলে দম্পতির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী ঘটতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় হতবাক দুই পরিবারেরই সদস্যরা। পুলিশি তদন্তে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।