NIA Raid: দেশজুড়েই জাল ছড়াচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠন, মদতদাতাদের খোঁজে ১৮ জায়গায় তল্লাশি চালাল NIA

NIA Raid Across India: সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদ্দিন, আল বাদার সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী উপত্যকা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের জাল বিস্তার করেছে বলেই জানতে পেরেছে এনআইএ।

NIA Raid: দেশজুড়েই জাল ছড়াচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠন, মদতদাতাদের খোঁজে ১৮ জায়গায় তল্লাশি চালাল NIA
এনআইএ। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2021 | 11:57 AM

নয়া দিল্লি: কাশ্মীরে জঙ্গি গতিবিধি (Terrorist Activity) বাড়তেই তৎপর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও। মঙ্গলবার জঙ্গিযোগের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীর(Jammu Kashmir), উত্তর প্রদেশ (Uttar pradesh) ও দিল্লি (Delhi) মিলিয়ে মোট ১৮টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ(NIA), এমনটাই জানা গিয়েছে।

মধ্য কাশ্মীর জুড়ে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে, যাকে এক কথায় ওভারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক (Over Ground Network) বলা হয়, তার খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদ্দিন, আল বাদার সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী উপত্যকা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের জাল বিস্তার করেছে বলেই জানতে পেরেছে এনআইএ।

মঙ্গলবার সোপিয়ানের এনকাউন্টারে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিরোধ বাহিনীর যে জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়, তারপরই একাধিক সূত্র ধরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন ও তাদের মদতদাতাদের খোঁজে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি উপত্যকায় যে নিরীহ নাগরিকদের হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করার লক্ষ্যেই হয়েছিল এই মর্মে রবিবারই একটি এফআইআর-ও দায়ের করে এনআইএ।  নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, পাক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে এবং যারা লস্করের শাখা গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করছে, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে পাকিস্তান সেনা ও আইএসআই বাহিনীই তৈরি করেছিল টিআরএফ গোষ্ঠী। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্য়াহারের পরই এই গোষ্ঠীকে উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবের প্রচার করতে তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এটি লস্কর-ই-তৈবার একটি শাখা সংগঠন। সম্প্রতি উপত্যকায় যে হামলা গুলি চলেছে, তার দায়স্বীকার করে নিয়েছে এই গোষ্ঠী।

গত জুন মাসে জম্মুতে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জোড়া হামলা ও ড্রোনের মাধ্যমে সাড়ে ৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরক পাঠানোর পিছনেও এই জঙ্গি গোষ্ঠীরই হাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে, গতকালের পর এদিন সকালেও এনকাউন্টার অভিযান শুরু হয়েছে উপত্যকায়। মঙ্গলবার ভোর থেকেই ফের এনকাউন্টার শুরু হল জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে (Shopian)। শেষ খবর পাওয়া অবধি, তিন লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba)জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, যে তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, তারা লস্কর গোষ্ঠীর প্রতিরোধ বাহিনী(Resistancer Front)-র সদস্য। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
গতকালও উপত্যকায় এনকাউন্টার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় (Bandipora) জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়়াই শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। ওই এনকাউন্টারে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গির নাম ইমতিয়াজ় আহমাদ দার। লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য ছিল ইমতিয়াজ়, এমনটাই জানা গিয়েছে। বিগত সপ্তাহেই বান্দিপোরায় যে সাধারণ নাগরিককে হত্যার ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গেও জড়িত ছিল এই জঙ্গি, এমনটাই দাবি পুলিশের।