Nobel Prize 2025: চেষ্টা করেও ট্রাম্প পাননি, গান লিখে পেয়েছিলেন বব ডিলান; তার ১০০ বছরের বেশি আগে পেয়েছিলেন এক বাঙালিও!
Nobel Prize in Literature: গীতিকার হিসাবে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া আজ পর্যন্ত ঘটেছে মাত্র ২ বারই। আর সেই তালিকায় দু নম্বরে রয়েছেন ডিলান। তাহলে এই তালিকায় ১ নম্বরে কে? কবেই বা তিনি নোবেল পেয়েছিলেন?

গীতিকার হিসাবে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন আমেরিকান শিল্পী বব ডিলান। ২০১৬ সালে তিনি দ্বিতীয় গীতিকার হিসাবে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু গীতিকার হিসাবে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া আজ পর্যন্ত ঘটেছে মাত্র ২ বারই। আর সেই তালিকায় দু নম্বরে রয়েছেন ডিলান। তাহলে এই তালিকায় ১ নম্বরে কে? কবেই বা তিনি নোবেল পেয়েছিলেন?
সালটা ১৯১৩, সাহিত্যে নোবেল পেলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এশিয়ার প্রথম মানুষ হিসাবে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও কোনও গীতিকার হিসাবেও সেই ছিল প্রথম নোবেল। কিন্তু আমরা তো জানি গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন তিনি। তাহলে?
গীতাঞ্জলি আসলে কাব্যগ্রন্থ হলেও গীতাঞ্জলির কবিতাগুলো আসলে তো গানই। ‘আমার মাথা নত করে’, ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো’, ‘আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায়’, ‘আজি শ্রাবণ-ঘন-গহন-মোহে’, ‘আষাঢ়সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল’, ‘আজি ঝড়ের রাতে’ বা ‘তুমি কেমন করে গান কর যে গুণী’; এইসব কবিতায় নিজেই সুর দিয়েছিলেন রবিউ ঠাকুর। ফলে, এই রচনাগুলোকে আমরা কবিতার তুলনায় গান হিসাবেই বেশি মান্য করি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য। নোবেল সংস্থার উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছিল, তাঁর ‘গভীর সংবেদনশীল ও সুন্দর কাব্য’ সাহিত্যে এক নতুন ধারা তৈরি করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে যে কবিগুরুর গান আজও বাজে, সেই ‘গীতাঞ্জলি’ অনেকটা ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা। পরবর্তীতে সেই গীতাঞ্জলিকে ‘Gitanjali: Song Offerings’ হিসাবে ইংরেজিতে তিনি নিজেই অনুবাদ করেন। আর সেই অনুবাদের মুখবন্ধ লিখেছিলেন বিখ্যাট আইরিশ কবি ডব্লিউবি ইয়েটস।
আর ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পান আমেরিকান গীতিকার বব ডিলান। তিনিও কিন্তু তাঁর লেখা গানের জন্যই সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন। আসলে ডিলান হন বা আমাদের রবি ঠাকুর কেবল গান লিখেছিলেন, এমন বললে সত্যিই খুব অন্যায় হবে। গানের মাধ্যমে সাহিত্যকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
