Noida: আইনজীবী স্ত্রীকে খুন করে ৩৬ ঘণ্টা স্টোররুমে লুকিয়ে প্রাক্তন সরকারি কর্তা!
Noida husband kills lawyer wife: রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর), উত্তর প্রদেশের নয়ডায় তাঁদের বাসভবন থেকেই পাওয়া গিয়েছিল ওই আইনজীবীর দেহ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তাঁর স্বামী নিতিননাথ সিনহা।

নয়া দিল্লি: বাংলো বিক্রি নিয়ে বিবাদের জেরে স্বামীর হাতে খুন হতে হল সুপ্রিম কোর্টের এক মহিলা আইনজীবীকে। ৬১ বছর বয়সী ওই আইনজীবীর নাম রেণু সিনহা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর), উত্তর প্রদেশের নয়ডায় তাঁদের বাসভবন থেকেই পাওয়া গিয়েছিল ওই আইনজীবীর দেহ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তাঁর স্বামী নিতিননাথ সিনহা। তিনি ভারতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রাক্তন আধিকারিক। সোমবার, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩৬ ঘণ্টা ধরে তিনি ওই একই বাড়ির স্টোররুম লুকিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রেণু সিনহার ভাইই প্রথম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। রবিবার সকালে তিনি পুলিশকে জানান, দু’দিন ধরে তিনি রেণুকে ফোন করে যাচ্ছেন, কিন্তু, তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। রেণুর শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করার পরই, নয়ডায় সিনহা পরিবারের বাংলোতে হানা দিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। বাংলোটি ভিতর থেকে তালাবন্ধ ছিল। পুলিশ তালা ভেঙে বাংলোয় ঢুকেছিল। বাংলোর এক বাথরুম থেকে রেণুর রক্তাক্ত প্রাণহীন দেহ পাওয়া গিয়েছিল।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তাঁর স্বামী নিতিননাথ সিনহা। তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল। অথচ, নয়ডার সেক্টর ৩০-এর ওই বাড়িতে শুধু তাঁরা স্বামী-স্ত্রীই থাকতেন। তাঁদের ছেলে থাকেন বিদেশে। নিতিনের বিরুদ্ধেই রেণুকে হত্যার অভিযোগ করেছিলেন রেণুর ভাই। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, প্রৌঢ় দম্পতির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিবাদ লেগেই ছিল। এরপরই, পুলিশ নিতিনের খোঁজ শুরু করে। তাঁর ফোন ট্র্যাক করা হয়। দেখা যায়, তাঁদের বাংলোতেই ফোনের শেষ লোকেশন রয়েছে। এরপর, বাংলোয় তন্ন তন্ন করে সন্ধান চালানো হয়। ছাদের স্টোরুমে তাঁকে পাওয়া যায়। পুলিশের দাবি, ৩৬ ঘণ্টা ধরে ওই ঘরেই নিজেকে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন নিতিন সিনহা।
পুলিশি জেরার মুখে নিতিননাথ সিনহা তাঁর অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের বাংলোটি ৪ কোটি টাকায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তার জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে কিছু টাকাও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, বাংলো বিক্রির বিরোধিতা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী রেণু। এই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আগেও একাধিকবার বিবাদ হয়েছিল। এই বিবাদের জেরেই তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ওই প্রাক্তন সরকারি কর্তা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই রেণুর মৃত্যু হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতা আইনজীবী দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। মাত্র এক মাস আগেই তাঁকে সম্পূর্ণ ক্যান্সারমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ক্যান্সার জয় করলেও, গার্হস্থ্য হিংসার হাত থেকে রক্ষা পেলেন না তিনি।
