Odisha Train Accident: ‘যারা দায়ী, তাদের কঠিন শাস্তি’, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
Odisha train accident: ওড়িশায় ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। শনিবার (৩ জুন), ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর কী বললেন তিনি?
বালেশ্বর: ওড়িশায় ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। শনিবার (৩ জুন), ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ভুবনেশ্বর থেকে বায়ুসেনার এক কপ্টারে চড়ে বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর, বালাসোর ও কটকের হাসপাতালে ভর্তি আহত যাত্রীদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ঘটনাস্থলে তিনি ওড়িশা মন্ত্রিসভার সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, “অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকার কোনও চেষ্টাই বাকি রাখবে না। এটা একটা গুরুতর ঘটনা। প্রতিটি কোণ থেকে এর তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, রেল তার সর্বশক্তি দিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছে। এরপর আহতদের ত্রাণ প্রদান এবং ওই ট্র্যাক সারিয়ে দ্রুত ট্রেন চলাচল চালু করার প্রচেষ্টা চালানো হবে রেলের পক্ষ থেকে। ওড়িশা সরকার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ভুয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ওড়িশার সরকার এবং প্রশাসন যেভাবে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন, তার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। তাদের যার কাছে যা সামর্থ ছিল, তাই নিয়েই তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এই এলাকার বাসিন্দারা, বিশেষ করে যুবকদেরও প্রশংসা প্রাপ্য। তাঁরা গোটারাত জেগে উদ্ধারকাজে সহায়তা করেছেন। তাঁদের সাহায্য ছাড়া এই কাজ এত দ্রুত সম্পন্ন করা যেত না।”
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য, ‘হোল অব গভর্নমেন্ট’ পদ্ধতি অবলম্বনের উপর জোর দেন। শোকাহত পরিবারগুলি যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে প্রয়োজনীয় সবরকম সহায়তা পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।