Operation Sindoor: সিঁদুরে মেঘ দেখল পাকিস্তান! ভারতের প্রত্যাঘাতে নিহত লস্কর কমান্ডর হাফিজ
India Pakistan Tensions: ভারতের প্রত্যাঘাত সহ্য করতে না পেরে প্রাণ গিয়েছে শতাধিক জঙ্গির। তার মধ্যে রয়েছে লস্করের দুই জঙ্গির নামও। গোপন সূত্রে মিলেছে তাদের মৃত্যুর খবর। হাতে এসেছে পরিচয় ও ছবি।

কলকাতা: মধ্যরাতে ‘স্ট্রাইক’ ভারতের। জঙ্গি পুষে রাখার ফল কী হতে পারে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। উরি, বালাকোটের পর এবার অপারেশন সিঁদুর। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর ও পঞ্জাব প্রদেশের তৈরি হওয়া একটা পর একটা জঙ্গি গোষ্ঠীর সদর দফতর থেকে শাখা দফতর ক্ষেপণাস্ত্র মেরে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
তবে এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক ভাবে একটি বিবৃতি দেওয়া ছাড়া বিস্তারিত কিছু জানায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সাত সকালে মন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় শুধু মাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে। কিন্তু এই হামলায় কতগুলো জঙ্গির প্রাণ গিয়েছে, সেই নিয়ে কিছু উচ্চবাচ্য করেনি তারা। বেলা সাড়ে দশটায় বিস্তারিত প্রেস বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারতের প্রত্যাঘাত সহ্য করতে না পেরে প্রাণ গিয়েছে শতাধিক জঙ্গির। তার মধ্যে রয়েছে লস্করের দুই জঙ্গির নামও। গোপন সূত্রে মিলেছে তাদের মৃত্যুর খবর। হাতে এসেছে পরিচয় ও ছবি। ভারতের প্রত্যাঘাতে বুধের রাতে মৃত্যু হয়েছে হাফিজ আব্দুল মালিক। ইনি লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার। মৃত্যু হয়েছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর আরও এক সদস্য মুদাসি্সরেরও।

বাঁদিকে মুদাসি্সর, ডান দিকে হাফিজ
প্রসঙ্গত, ভারতের হামলার পর থেকেই কিন্তু ‘গা জ্বলতে’ শুরু করেছে পাকিস্তানের। পহেলগাঁও হামলার পর প্রতি মুহূর্তে তারা দাবি জানিয়েছিল, তাদের প্রশাসন জঙ্গিদের মদত দেয় না। এদিক বুধের হামলায় জঙ্গিদের প্রাণ যেতেই রাগে গজগজ করছে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এদিন ভারতের আনা প্রত্যাঘাতকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ বলে আখ্যান করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, এই ঘটনার যথাযথ ‘জবাব দেবে পাকিস্তান’, বলে দাবি তাঁর।

