AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bihar SIR: বিহারে খসড়া তালিকায় নেই ৬৫ লক্ষের বেশি ভোটার, আর কি নাম তোলার সুযোগ রয়েছে?

Bihar SIR: সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে রাজধানী পটনায়। সেখানে বাদ পড়েছে ৩.৯৫ লক্ষ লোকের নাম। এরপর মধুবনীতে ৩.৫২ লক্ষ, পূর্ব চম্পারনে ৩.১৬ লক্ষ এবং গোপালগঞ্জে ৩.১০ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছে। গতকাল খসড়া তালিকা প্রকাশের পর কমিশন জানিয়েছে, প্রকৃত কোনও ভোটারের নাম বাদ গেলে কিংবা কোনও আপত্তি থাকলে আবেদন জানানো যাবে।

Bihar SIR: বিহারে খসড়া তালিকায় নেই ৬৫ লক্ষের বেশি ভোটার, আর কি নাম তোলার সুযোগ রয়েছে?
প্রতীকী ছবিImage Credit: TV9 Bharatvarsh
| Updated on: Aug 02, 2025 | 10:55 AM
Share

পটনা: প্রথমে বলা হয়েছিল ৫২ লক্ষ। তারপর তা বেড়ে হয় ৬১ লক্ষ। আর শুক্রবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল, ৬৫ লক্ষের বেশি নাম বাদ পড়েছে। নাম বাদ পড়ার তালিকায় সবার উপরে রয়েছে পটনা। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-কে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

আর তিন-চার মাস পরই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেরাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনে জাতীয় নির্বাচন কমিশন স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন(SIR) শুরু করার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়তে থাকে। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা গড়ায়। সংসদের বাদল অধিবেশনে এই নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। এমনকি, বাদল অধিবেশনে এই নিয়ে আলোচনার দাবিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা।

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। জুন মাসে বিহারে SIR শুরুর আগে প্রায় ৭ কোটি ৯০ লক্ষ লোকের নাম নথিভুক্ত ছিল বলে কমিশন জানিয়েছে। SIR-র সময় ৭ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ নথি জমা করেন। ফলে ৬৫ লক্ষের বেশি জনের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ৩৬ লক্ষ ২৮ হাজার ভোটার স্থায়ীভাবে বিহারের বাইরে স্থানান্তরিত হয়েছেন কিংবা তাঁদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। ২২ লক্ষ ৩৪ হাজার ভোটারের মৃত্যু হয়েছে। ৭.০১ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিক জায়গায় নথিভুক্ত রয়েছে।

সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে রাজধানী পটনায়। সেখানে বাদ পড়েছে ৩.৯৫ লক্ষ লোকের নাম। এরপর মধুবনীতে ৩.৫২ লক্ষ, পূর্ব চম্পারনে ৩.১৬ লক্ষ এবং গোপালগঞ্জে ৩.১০ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছে।

আর কি নাম তোলার সুযোগ রয়েছে?

গতকাল খসড়া তালিকা প্রকাশের পর কমিশন জানিয়েছে, এটা খসড়া তালিকা। প্রকৃত কোনও ভোটারের নাম বাদ গেলে কিংবা কোনও আপত্তি থাকলে আবেদন জানানো যাবে। আবেদন জানানোর জন্য একমাস সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন জানানো যাবে। সেই আবেদন বিবেচনা করা হবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ফলে এই খসড়া তালিকা থেকে নাম বাদ গেলেও প্রকৃত ভোটাররা নাম তোলার সুযোগ পাবেন।