খনি ও খনিজ সংশোধনী বিল পাশ হল সংসদে

দেশের মাইনিং সেক্টরকে এই বিল নতুন করে দিশা দেখাবে বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি।

খনি ও খনিজ সংশোধনী বিল পাশ হল সংসদে
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 03, 2021 | 10:29 AM

নয়া দিল্লি: সংসদে পাশ হল মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যামেন্ডমেন্ট বিল। রাজ্য সভায় পাশ হওয়ার পর বিরোধীদের দাবি ছিল, সিলেক্ট কমিটির কাছে তা স্ক্রুটিনির জন্য পাঠানো হোক। এর আগে ১৯ মার্চই লোকসভায় এই বিল পাশ হয়।

খনি ও খনিজ পদার্থ সংক্রান্ত এই সংশোধনী বিল খনিজ ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সিদ্ধান্তে কর্মক্ষেত্রে যেমন সুযোগ বাড়বে, তেমনই বেসরকারি ক্ষেত্রেও খনি বা ‘মাইন অ্যাক্টিভিটি’র দরজা উন্মুক্ত হবে। সংসদে কেন্দ্রীয় কয়লা এবং খনি মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি জানান, ভারতের খনিজ ক্ষেত্রে এই বিল নয়া দিশা দেখাবে। যা খনিজ পদার্থ উৎপাদনে ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলবে। বিভিন্ন রাজ্য যেমন খনিজ-সমৃদ্ধির মুখ দেখবে, একইসঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থানও।

খনিজ ক্ষেত্র এবং সে সংক্রান্ত বিভিন্ন লেনদেনকে আরও সহজ করে তুলতেই সংশোধনী বিল আনা হয়েছে বলে কেন্দ্রের দাবি। এর ফলে নিলাম প্রক্রিয়াও নতুন গতি পাবে। এ দেশে খনিজ সম্পদের সম্ভার বিশাল। খনি সম্পদের একটা বড় অংশের খোঁজ এখনও সেভাবে করাই হয়নি। এবার বাণিজ্যিক উত্তোলনের মাধ্যমে সে প্রক্রিয়াতেও গতি আনতে চাইছে কেন্দ্র।

দেশের মাইনিং সেক্টরকে এই বিল নতুন করে দিশা দেখাবে বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। ভারতে মিনারেল সংরক্ষণের একটা বিরাট সুযোগ রয়েছে। অথচ এখনও অবধি মাত্র ৪৫ শতাংশের খোঁজ মিলেছে। নয়া বিলের হাত ধরে সে পথও প্রশস্ত হবে।

আরও পড়ুন: ‘এভাবে চলতে থাকলে লকডাউন অবশ্যম্ভাবী’, জনগণের উদাসীনতাকে দুষলেন উদ্ধব

এই সংশোধনী বিল অনুযায়ী, কেন্দ্র সরকার বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নিলাম করতে পারবে। কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে বসে নিলামের একটা সময়সীমা নির্ধারিত করতে পারে। সেই সময়ের মধ্যে রাজ্য যদি সম্পূর্ণ নিলাম প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারে কেন্দ্রের কাছে সেই অধিকার থাকবে, যে তারা তা নিলাম করবে। কেন্দ্রের দাবি, এতে গোটা প্রক্রিয়া যেমন সুষ্ঠুভাবে হবে, একইসঙ্গে গতিও আসবে কাজে।

কেন্দ্র চাইছে এমএমডিআর-এর মাধ্যমে খনন ক্ষেত্রে আরও পারদর্শী হোক দেশ। একইসঙ্গে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ুক। নিয়মে শিথিলতা থাকলে আরও বেশি করে উৎপাদন সম্ভব বলেই মনে করছে তারা। কয়লা উৎপাদন বাড়লে তা দেশের অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতাকেও আরও শক্তিশালী করবে। মোদী সরকার চাইছে, এ ক্ষেত্রে ভারত হোক বিশ্বের এক নম্বর দেশ।